সার্জিকাল স্ট্রাইকের ব্লু-প্রিন্টও তাঁর তৈরি!


প্রধানমন্ত্রী তিনি। কিন্তু খবর নেই তাঁর কাছেও। দিনের আলো ফোটার এক ঘণ্টা পরেও খবর আসছে না সার্জিকাল স্ট্রাইকে যাওয়া সেনাদের। হামলার প্রতিটি গতিবিধির উপরে কী ভাবে নজরদারি করেছেন, অভিযান চলাকালীন কী ভাবে তিনি 'টেনশনে' কাটিয়েছেন তাই আজ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন সেনা নয়। আসলে গোটা অভিযানের নীল নকশার মুখ্য রচয়িতা ছিলেন তিনি।

ভোটের বছরের প্রথম দিনেই সার্জিকাল স্ট্রাইকের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে মোদীর। তাই সার্জিকাল স্ট্রাইকের স্মৃতি আঁকড়ে লোকসভার আগে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলতে চাইছে বিজেপি। তবে পাকিস্তান যে একটা হামলায় শোধরায় না, সে কথা বলে ভোটের আগে নতুন হামলার সম্ভাবনাও জিইয়ে রাখলেন তিনি।

২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরির সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা। নিহত হন ১৯ জন জওয়ান। আজ মোদী জানান, ''আমি যেমন ক্ষুব্ধ ছিলাম, তেমনি পাল্টা হামলার জন্য সেনার ভিতরেও দাবি উঠছিল। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেনাদের নিরাপত্তা। তাই দু'বার অভিযানের তারিখও পাল্টানো হয়।'' ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হানা দেয় সেনা। মোদী জানান, বাহিনীকে বলা হয়েছিল, সূর্যোদয়ের আগেই ফিরতে হবে। 
এত সতর্কতা নেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে প্রায় ঘণ্টাখানেক তাঁকে খবরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতে হয়, তা বিশদে বলেছেন মোদী। তিনি বলেন, ''এক সময়ে খবর আসা বন্ধ হয়ে যায়। ততক্ষণে আলো ফুটে গিয়েছে। এখান থেকে ফোন গেলে সমস্যা হতে পারে তাই ফোনও করিনি।'' বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে বলে দাবি বিরোধীদের। মোদীর বক্তব্য, ''পাকিস্তান নিজেদের মনোবল বজায় রাখতে সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু এ দেশের কিছু দল পাকিস্তানের সুরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। বিষয়টির রাজনীতিকরণ তখন থেকে শুরু হয়।''