মমতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর অফিসে সিবিআই তল্লাশি


কলকাতাঃ  প্রয়োজক শ্রীকান্ত মোহতার অফিসে সিবিআই তল্লাশি। তাঁর কসবার অফিসে এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেই হাজিরা দেননি মমতা ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। এরপরেই আজ বৃহস্পতিবার শ্রীকান্তের অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, শ্রীকান্ত মোহতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র তদন্তেও এই চলচ্চিত্র প্রযোজকের নাম উঠেছিল। রোজভ্যালি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সময়ে ইডি যে তাঁদের তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিল সিবিআইকে, সেখানে শ্রীকান্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
 
সিবিআই সূত্রে খবর, রোজভ্যালি গোষ্ঠীর টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে ২০১০ সালে শ্রীকান্তের শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস্-র একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওই প্রযোজনা সংস্থা রোজভ্যালির চ্যানেলকে ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৭০টি ছবি রোজভ্যালির চ্যানেলে দেখানোর স্বত্ত্ব বিক্রি করে।

সেই সময় শ্রীকান্ত মোহতা এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রোজভ্যালি কর্ণধার। তিনি জানিয়েছিলেন, যে চুক্তি অনুযায়ী ৭০টি ছবির বদলে মাত্র ৩০টি ছবি দিয়েছেন শ্রীকান্ত। রোজভ্যালি আদালতে জানিয়েছিল, চুক্তি অনুযায়ী সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিও দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যে তিরিশটি ছবি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস্ দিয়েছিল তার মধ্যে অধিকাংশই ছিল পুরনো।

এই নিয়ে ওই প্রয়োজককে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদে প্রযোজককে চুক্তি এবং কী ভাবে টাকার লেনদেন হয়েছিল সে বিষয়ে হওয়া চুক্তি সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়। ওই চুক্তির পিছনে কার কী ভূমিকা ছিল সেটাও দেখছেন গোয়েন্দারা।

কারণ, এর আগে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে জেরার সময়ও এই চুক্তি প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। শ্রীকান্ত এবং গৌতম কুণ্ডুর বাইরেও এই চুক্তিতে আরও কিছু ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বারবার শ্রীকান্ত মোহতাকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু হাজিরা না দেওয়াতে এদিন হঠাত করেই শ্রীকান্ত মোহতার অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা