ভরে গেল কলকাতা


বৃহস্পতিবার থেকে ওদের আসা শুরু হয়েছে। শুক্রবার শিয়ালদা, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষ ব্রিগেডের সভার জন্য আসছেন। শনিবার ভোরে অনেকে আসবেন। তৃণমূল থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০ লক্ষ লোক ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত হবেন। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাঁদের।

তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি ঘুরে ঘুরে শিবির দেখেছেন। শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বরো কমিটির চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। ব্রিগেডের মাঠ থেকে মোবাইলে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। চোখেমুখে সকলের আনন্দ। থাকা–‌খাওয়ার ব্যবস্থা দেখে সকলেই খুশি। শোওয়ার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার দেওয়া হচ্ছে। যজ্ঞ চলছে। রান্না হচ্ছে। কেউ কেউ ব্রিগেডে ঘুরেও এসেছেন। গল্পগুজব চলছে। একটাই কথা, '‌দিদি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হবেন'‌।

উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা থেকে ৮০ শতাংশ কর্মী ও নেতারা এসে পড়েছেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে হাওড়া, শিয়ালদা ও কলকাতা স্টেশনে ক্যাম্প করা হয়েছে। তাঁদের বলে দেওয়া হচ্ছে, কোন শিবিরে যেতে হবে। সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো হচ্ছে। নেতাদের মধ্যে সবারই কলকাতা চেনা।

এর আগে কর্মীদের মধ্যেও অনেকেই মমতার সভায় এসেছেন। ২০১১–‌য় ক্ষমতায় আসার পর ব্রিগেডে যে বিজয়োৎসব হয়েছিল, তাতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ২০১৪–‌র লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতার ব্রিগেডে এঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ হাজির হয়েছিলেন। এবার আরও বেশি লোক আসছেন। তৃণমূলের এক নেতা জানান, '‌অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়া হবে। আমরাই আমাদের রেকর্ড ভাঙব।'‌‌


শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য জেলা থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকেরা। শুক্রবার, উত্তীর্ণে। ছবি: বিজয় সেনগুপ্ত, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে ব্রিগেডে মুখ্যমন্ত্রী।