শিষ্যা বিয়ের জন্য ব্ল্যাকমেল করছিলেন, তাই আত্মঘাতী হন ভাইয়ু মহারাজ, জানাল পুলিশ

ভাইয়ু মহারাজ।

এক শিষ্যা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার হুমকি দিচ্ছিলেন বলেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন ধর্মগুরু ভাইয়ু মহারাজ। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর ইনদওর পুলিশ শনিবার এ কথা জানিয়েছে। গত বছরের জুনে আত্মঘাতী হন ভাইয়ু। রেখে যান একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা ছিল, ''আমি শেষ হয়ে গিয়েছি।''

এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের এক জনের নাম পুলক। ঘটনার কিছু দিন আগে যিনি শিষ্যা হিসেবে এসেছিলেন ভাইয়ু মহারাজের আশ্রমে। দ্বিতীয় জন ভাইয়ুর ডান হাত বিনায়ক ধুলে। অন্য জন ভাইয়ুর গাড়ির চালক শরদ দেশমুখ। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। একটি স্থানীয় আদালত ধৃত তিন জনকে ১৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

ইনদওর পুলিশ জানাচ্ছে, তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করার জন্য দু'বার বিবাহিত ৫০ বছর বয়সী ভাইয়ুকে বেশ কয়েক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন পালক। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০১৭-র জুনে আয়ুষি শর্মা নামে এক চিকিৎসককে বিয়ে করেন ভাইয়ু। আর তার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণের ঘোষণা করেন।

ইনদওর পুলিশের ডিআইজি নারায়ণচারি মিশ্র জানিয়েছেন, পালক যে ভাইয়ুকে ব্ল্যাক মেল করছিলেন, তার অডিয়ো ও ভিডিয়ো ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে বিয়ে করার জন্য পালক ভাইয়ুকে চাপ দিচ্ছিলেন বিনায়ক ও শরদকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা ভাইয়ুকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন, বিয়ে করতে রাজি না হলে ভাইয়ুর দশাও হবে দাতি মহারাজের মতো। দাতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আশ্রমেরই এক শিষ্যা। ভাইয়ুর মোবাইল ফোন থেকে পালকের কিছু 'অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট'ও পুলিশের হাতে এসেছে। দাতি মহারাজের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তুমুল হই চই শুরু হয়ে যাওয়ার পর ভাইয়ু যে খুব উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন, তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। পালক যে ব্ল্যাক মেল করছিলেন, তার তথ্যপ্রমাণ পুলিশ পায় ভাইয়ুর গাড়ির প্রাক্তন চালক কৈলাশের কাছ থেকে।