শ্বশুড়বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না কনকদুর্গাকে, আশ্রয় মিলল সরকারি হোমে


কেরলের আয়াপ্পা স্বামীর মন্দির শবরীমালাতে প্রবেশ করার সাহস দেখিয়ে নজির গড়েছিলেন ৩৯ বছরের কনকদুর্গা। তাঁকেই মঙ্গলবার শ্বশুড়বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না। কিছুদিন আগেই কনকদুর্গার শাশুড়ি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। যার জেরে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। এই ঘটনার পর তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, পুলিস–প্রশাসন কনকদুর্গার অভিযোগটি আদালতে পাঠিয়েছেন। আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে সকলে।

জানা গিয়েছে, পুলিস যখন দুর্গাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারে করে তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে নিয়ে আসে, তখন দেখা যায় বাড়িতে তালা ঝুলছে। দুর্গার স্বামী–সন্তান এবং শাশুড়ি অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। বাধ্য হয়েই দুর্গাকে পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। কনকদুর্গা ও বিন্দু আম্মিনি এই দুই ঋতুমতী মহিলা শবরীমালায় ঢুকে মন্দিরের দীর্ঘদিনের প্রথা ভাঙেন। এই ঘটনার পরই ডানপন্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পুলিস ও রাজ্যের নিরাপত্তায় তাঁদের রাখা হয় অজ্ঞাতবাসে। মন্দিরে প্রবেশের প্রায় দু'‌হপ্তা পর কনক দুর্গা তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর তাঁর শাশুড়ি তাঁকে এমন মারধর করেন যে তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না। কনক বলেন, '‌আমাকে বিভিন্ন ধরনের কটু কথা বলে হেনস্থা করেন তিনি। আমার শাশুড়ি আমার চরিত্র নিয়েও বাজে কথা বলেন এবং আমি পরিবারের সম্মানহানি করেছি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।'‌ এই ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে কনকদুর্গা ও বিন্দুকে সবসময় পুলিসি নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু শীর্ষ আদালতের রায়ের পরও সসম্মানে শ্বশুড়বাড়ি ফিরতে পারলেন না কনকদুর্গা।