৯ বছরের ছেলেকে খুন করে পুঁতে দিল বাবা-ঠাকুমা! মায়ের কথায় ফাঁস ভয়ঙ্কর সত্য


এক নাবালককে খুন করে দেহ পুকুরের পাকে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা-ঠাকুমার বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর, নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে  নামখানার দক্ষিণ চন্দননগর ছয়েরমাইল গ্রামে।  মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ মাটি খুঁড়ে বার করে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিস।

ন'বছরের ওই কিশোরের মা রীনা ভুঁইয়ার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তিনি নির্যাতিত। প্রায় প্রত্যেক দিনই তাঁর ওপর অত্যাচার চলে। শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী রাজকুমার ভুঁইয়ার অত্যাচার, মারধরের হাত থেকে রেহাই পেতে  বেশ কয়েকবার বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর ন'বছরের ছেলেও। ইদানীং অশান্তি চরমে উঠেছিল।  গত সপ্তাহেই বালিশ চাপা দিয়ে রীনাকে তাঁর স্বামী রাজকুমার খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনওভাবে সেযাত্রায় বেঁচে যান তিনি।

গত শনিবার দুপুরে খাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রীমা। আচমকাই ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন, ছেলে পাশে নেই। তাকে খুঁজতে গিয়ে রীনা দেখে পুকুরপাড়ে ছেলের এক জোড়া চটি পড়ে রয়েছে। তখনই সন্দেহ হয় তার। পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। পাক থেকে ছেলের নিথর দেহ উদ্ধার করেন রীনা। তাঁর দাবি, ছেলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, গলায় দাগ ও জিভও কাটা ছিল। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই ছেলেকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি। কিন্তু মাঝ রাস্তা থেকেই তাঁকে মারধর করে ফের ফিরিয়ে আনা হয় বাড়িতে।  ছেলের দেহ মাটিতে চাপা দিয়ে দেয় রাজকুমার।

দুদিন বাদে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন রীনার বাপেরবাড়ির সদস্যরা।  তাঁরাই নামখানা থানায় গিয়ে রামকুমার ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নাবালকের দেহ মাটি খুঁড়ে বার করে পুলিস। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।