বন্‌ধের দ্বিতীয় দিনেও সচল বাংলা


বন্‌ধের দ্বিতীয় দিনেও সচল বাংলা। শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বুধবার নির্দিষ্ট সময়েই চলছে ট্রেন। যদিও কিছু জায়গায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যেমন দাশনগরে স্কুল বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রী আহত হয়। রানাঘাট শাখায় শিমুরালি স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। এছাড়া শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় মথুরাপুর, কাকদ্বীপ শাখায় নেতড়া–বাসুলডাঙায় রেল অবরোধ করা হয়।

 লক্ষীকান্তপুর–নামখানা–ডায়মন্ডহারবার শাখাতেও রেল অবরোধ করা হয় সকালে। যদিও আরপিএফ কিছুক্ষণের মধ্যেই অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। কোচবিহারে টোটো ভাঙচুর করেছেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা। সরকারি বাসের উপরেও হামলা চালানো হয়।
যাদবপুর ৮ বি বাসস্ট্যান্ড চত্বর মঙ্গলবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। মিছিল আটকানোয় বন্‌ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। গ্রেপ্তার বরণ করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাঁকুড়া, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হয়েছে। হাওড়া ব্রিজে অবশ্য যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুপুরের দিকে রাজাবাজারে একটি পুলকারে হামলা চালায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছে এক শিশু। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাক্সিতে ভাঙচুর করা হয়। হামলার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে, দ্বিতীয় দিনেও রাস্তায় রয়েছে প্রচুর সরকারি বাস। বেসরকারি বাসও চলছে। নিত্যযাত্রীরা কর্মস্থলে গেছেন। মেট্রোতেও আর পাঁচদিনের মতো ভিড় রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসে হাজিরা স্বাভাবিক রয়েছে। সাধারণ মানুষই দুই দিনের বন্‌ধকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন।