বর্ষবরণের রাতে তরুণীকে হেনস্থা, বোন এবং হবু স্বামীকে বেধড়ক মার, গ্রেফতার ৬


বর্ষবরণের রাতে এক তরুণীকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়। মারধর করা হয় তাঁর বোন এবং হবু স্বামীকেও। ওই ঘটনায় ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

সোমবার রাত দুটো নাগাদ বালিগঞ্জ থানা এলাকার একটি মিষ্টি দোকানের সামনে বোন এবং কাকার সঙ্গে হবু স্বামীর জন্যে অপেক্ষা করছিলেন ওই তরুণী। বাইকে করে দুই যুবক সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ওই তরুণীর উদ্দেশে কটূক্তি করে। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাননি। কিন্তু, পরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে আরও কয়েক জন যুবক সেখানে জড়ো হয়। ঘিরে ধরে চলে হেনস্থা।

কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ওই তরুণীর হবু স্বামী। গাড়িতে উঠে তাঁরা সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে, বাধা দেয় মত্ত ওই যুবকেরা। ফের কটূক্তি শুরু হয়। এর পর ওই তরুণীর হবু স্বামী প্রতিবাদ করলে যুবকেরা গাড়ি থেকে সবাইকে নামানোর চেষ্টা করে। চিৎকার করতে থাকেন ওই তরুণী এবং তাঁর বোন। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় হবু স্বামীকে। তরুণীর জামা জোর করে খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। রেহাই পাননি তাঁর বোনও। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এর পর কোনও মতে সেখান থেকে ছুটতে ছুটতে থানায় পৌঁছন ওই তরুণী। তখনও পিছন থেকে ভেসে আসছে, খুনের হুমকি। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই যুবকেরা। তদন্তে নামে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয় সুমিত পোদ্দার এবং রোহিত পাসওয়ান নামে দু'জনকে। তাদের বাড়ি হাজরা রোডে। তাদের জেরা করে আরও চার জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ হালদার এবং শান্তনু মণ্ডলকে বেলতলা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমনাথ পাত্র এবং বিশ্বনাথ পাত্রকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।