ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তিব্বতে ভারত সীমান্তের কাছে বিপুল সৈন্য সমাবেশ করেছে চিন।


ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তিব্বতে ভারত সীমান্তের কাছে বিপুল সৈন্য সমাবেশ করেছে চিন। ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারতীয় সেনার সঙ্গে তীব্র স্নায়ুযুদ্ধ চলার সময় তিব্বতে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছিল চিন। সেই সময় দফায় দফায় তিব্বতের মালভূমিতে যুদ্ধের মহড়া চালিয়ে যায় লালফৌজ। কিন্তু এবার শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তিব্বতে স্বাভাবিকের চেয়ে এত বেশি সেনা মোতায়েনকে ভাল চোখে দেখছে না দিল্লি। তাই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপগ্রহ।

শুধু তাই নয়, এবার পাকাপাকিভাবে তিব্বতে সেনা সমাবেশ করল চিন। সঙ্গে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন শতাধিক হাউৎজার কামান, হালকা হেলিকপ্টার গানশিপ এবং বিপুল যুদ্ধ সরঞ্জাম। সরকার পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, সমতল থেকে বহু উঁচু পার্বত্য এলাকায় এবং মালভূমিতে নিজের যুদ্ধ ক্ষমতা ও পারদর্শীতা ঝালিয়ে নিতেই তিব্বতের মালভূমিতে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি গেড়েছে লালফৌজ। সঙ্গে রয়েছে পিএল-১৮১ মডেলের বিশেষ সামরিক গাড়িতে বসানো শক্তিশালী হাউৎজার কামান। এগুলির পাল্লা অন্তত ৫০ কিলোমিটার। উপগ্রহ মারফত ছবি ও সংকেত পেলে কম্পিউটারের সাহায্যে লেজার গাইডেড হয়ে নির্ভুল নিশানায় আঘাত করতে পারে এগুলি। রাত্রিকালীন যুদ্ধেও সমানভাবে দক্ষ হাউৎজারগুলি।

শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া উইচ্যাটের অ্যাকাউন্টে এই সেনা সমাবেশের কথা ঘোষণা করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। মার্কিন মিডিয়ার দাবি, আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ হাজার চিনা সেনা আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে ভারত সীমান্ত (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) থেকে অন্তত ৪০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু এই অবস্থানও ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। লালফৌজের ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে এই সেনা সমাবেশে যুক্ত হয়েছে প্রচুর হালকা ওজনের কামান যেগুলি দ্রুত নানা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এত উঁচুতে থাকতে তাকতে সেনারা যাতে অসুস্থ না হয় সেজন্য অক্সিজেন উৎপাদক প্ল্যান্ট ও অক্সিজেন স্টেশন তৈরি করেছে চিন। চিনের বিশিষ্ট নিরাপত্তা ও যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ ঝাও গানচেঙের দাবি, তিব্বতে পিএলএ নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। শত্রুর আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনওভাবেই আগ্রাসন চালানো বা যুদ্ধ উসকে দেওয়ার জন্য নয়।