কর্নাটকে দুই নির্দল বিধায়ক ছাড়লেন জোট, নাটক তুঙ্গে


কংগ্রেস–জেডি(‌এস)‌ জোট সরকার কর্নাটকে কি পড়ে যাবে?‌ ক্ষমতায় আসবে বিজেপি?‌ নাকি সরকার তার পুরো মেয়াদ পূর্ণ করবে?‌ এই মুহূর্তে এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। কারণ সেখানে ঘোড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে খবর। বিজেপি'‌র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল আগামী ১৭ জানুয়ারি কর্নাটকের জোট সরকার পড়ে যাবে। তারপর থেকে জোর নাটক শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু'‌জন নির্দল বিধায়ক জোট সরকার ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। এই দু'‌জন বিধায়কের নাম শঙ্কর ও নাগেশ।

ইতিমধ্যেই তিনজন কংগ্রেস বিধায়ককে মুম্বইয়ের হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। যাঁদের পাহারা দিচ্ছে বিজেপি নেতারা। উলটে কর্নাটকের বিজেপি শাখার প্রধান বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে। তিনি দলের বিধায়কদের ক্ষমতা ও টাকার প্রলোভন দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। যেখানে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে। এখন বিজেপি'‌র ১০৪ জন বিধায়ক রয়েছেন হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের একটি হোটেলে। এরপরও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেছেন, সরকার পড়ে যাওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

কিন্তু সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কাজে লেগে গিয়েছে এই আনন্দে গুরুগ্রামের বিলাসবহুল হোটেলে বিজেপি বিধায়করা ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে। যদিও কংগ্রেসের নেতা তথা কর্নাটকের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেন, '‌সরকারের স্থায়ীত্ব রয়েছে। পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে এইচডি কুমারস্বামীর সরকার।'‌ এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে বিজেপি কর্নাটকের জোট সরকার ফেলে দিতে চায়?‌ নাকি লোকসভা নির্বাচনের সময় যাতে এখানে উপনির্বাচন করা হয় সেদিকে হাঁটবে?‌ কারণ জোট সরকারের আসন সংখ্যা ১১৬। সেখান থেকে পাঁচজন বেরিয়ে গেলেও সরকার পড়ার সম্ভাবনা নেই। বিজেপি'‌র ১০৪ জন বিধায়ক। যদি দল ভাঙাতে বিজেপি সক্ষম হয়, তাহলে সেই আসনগুলিতে উপনির্বাচন করতে হবে। সুতরাং এখন দেখার কোন পথে হাঁটে বিজেপি।