‌ফেসবুকে মহিলাদের নিয়ে অশ্লীল পোস্ট করলেন যাদবপুরের অধ্যাপক


বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার। ‌নারীর '‌কুমারীত্ব'‌ নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এরপরই বিতর্কের মুখে পড়ে পোস্টটি তিনি নিজেই মুছে দেন। কেন '‌কুমারীত্ব'‌ '‌সতীত্ব'‌ নিয়ে লিখতে গেলেন তার ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। লিখেছেন:‌‌ '‌কুমারীত্ব'‌–থাকা নারীই হল প্রকৃত দেবদূত। নারী '‌কুমারীত্ব'‌ নিয়ে জন্মায়। '‌কুমারীত্ব'‌ থাকার অর্থ সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং নিরাপদ যৌনতা। তিনি বলেছেন, আমরা কি সিলভাঙা বোতল কিনি?‌ প্যাকেট–খোলা বিস্কুট কিনি?‌

গত বছর ৯ নভেম্বর তিনি এই পোস্ট করেছিলেন। ২২ ডিসেম্বর লিখেছেন, বিয়ের আগে যদি কোনও নারী কুমারী থাকে তা হলে বিষয়টি নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। কনকবাবুর তথ্য:‌‌ ৯৯ শতাংশ জাপানি মেয়ে বিয়ের আগে কুমারীই থাকে। তাই জাপানি সমাজ এগিয়ে ও উন্নত। ১২ জানুয়ারি আবার একটি পোস্টে লেখেন— দুর্ভাগ্যবশত অনেক মহিলারই '‌কুমারীত্ব'‌ বিয়ের আগে ঘুচে যায়। এই সব লেখালেখি ঘিরে অনেক ছাত্রছাত্রীই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য শুরু করেন। জানা গেছে, অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে। কনকবাবু বলেছেন, '‌আমি কলম এবং মুক্তকলম গ্রুপে লিখেছি। প্রত্যেক মানুষের মত প্রকাশের অধিকার আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগাযোগ নেই। আমার কথা সবাইকে মানতে হবে এমন কথা নেই। আমি ২৫০টি পোস্ট করেছি। সে–সব নিয়ে বই বেরোচ্ছে। আমি মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করেছি তাই ছাত্রছাত্রীরা আমার বিরুদ্ধে বলছে। সমাজের একটা মূল্যবোধ আছে। সেটা সবার জানা উচিত।'‌ কনক সরকারের পোস্টের বিষয় ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–‌উপাচার্য প্রদীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, '‌এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলব না। না জেনে কোনও মন্তব্য করব না। আগে দেখি তার পরে বলব।‌'‌