শ্যালিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে কাটা গেল পুরুষাঙ্গ


জয়নগর: পারিবারিক বিবাদের জের কাটা রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ নিয়ে আহত ব্যক্তি হাসপাতালের দোরে দু'দিন ঠায় বসে থাকতে হয়৷ অবশেষে তৃতীয় দিন ভরতি সম্ভব হলেও, বিলম্বের কারণে ছিন্ন যৌনাঙ্গ জোড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকরা।

কিছু সমস্যার জন্য উলুবেড়িয়া থেকে জয়নগরে এসে থাকছিলেন সফিক মিদ্দাছ তিনি থাকছিলেন তাঁর ভাইরাভাই শাহজাহান মোল্লার বাড়িতে। অভিযোগ, সেই সুযোগে সফিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে শাহজাহান। সফিকের দাবি, অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য প্রথমে মুখ বুজে ছিলেন।
 
তবে, সোমবার রাতে শাহজাহানকে স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থাতে দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। ধান কাটার গাঁইতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং যৌনাঙ্গ কেটে দেন। শাহজাহানের চিৎকারে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়। সফিককে মারধর শুরু করে।

গুরুতর আহত সফিক পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য সফিক মিদ্দার অভিযোগ মানতে নারাজ শাহজাহান মোল্লা, তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, " আমি নির্দোষ। আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ওই কাজ করেছে সফিক।"

এদিকে সোমবার রাতের ঘটনার পর আহত শাহজাহানকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে হয়রান হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে গ্রামীন হাসপাতাল থেকে বারুইপুর হাসপাতাল রেফার করে। সেখানে ডাক্তার দেখে পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে যেতে বলে। সেখান থেকে গভীর রাতেই এসএসকেএম রেফার করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে বেড নেই বলে ফের চিত্তরঞ্জন যেতে বলে ডাক্তার।

শাহজাহানের অভিযোগ, " মঙ্গলবার রাত অবধি এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে ঠাই বসে থাকতে বাধ্য হয়।" বুধবার রাতে জরুরি পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড বেড নম্বর ১৬-তে ঠাঁই হয়। জয়নগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সফিককে নজরদারিতে রেখেছে।