নগদের ঘাটতি থাকলে ব্যবস্থা নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, উর্জিতের ‘উল্টো পথে’ হাঁটলেন শক্তিকান্ত


যে পথে প্রাক্তন না হেঁটে ইস্তফা দিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বর্তমান গভর্নর বলেই দিলেন, প্রয়োজন থাকলে সে পথেই হাঁটতে হবে। যদি দেশের অর্থনীতিতে নগদ ঘাটতি থাকে, তা হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যথাপোযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলে সোমবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নয়া গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি এ দিন বলেন, আরবিআই এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি করবে না, যেখানে নগদের জোগান দিতে গিয়ে উলু বনে মুক্ত ছড়ানো হয়ে যায়।

কেন্দ্রের দাবি ছিল, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নগদ সঙ্কটে ভুগছে। ভোটের মুখে তাদের পরিকাঠামো চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারের অর্থ দেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্র। কিন্তু মোদী সরকারের আর্জি সরাসরি খারিজ করে দেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তত্কালীন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল। পাশাপাশি অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণনীতি শিথিল করার কেন্দ্রের আরও একটি দাবিও মেনে নেননি উর্জিত প্যাটেল। যার ফলে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের টানাপোড়েনে ইস্তফা দেন উর্জিত। তবে, শেষে নিজের সিদ্ধান্তেই অটুট ছিলেন তিনি।

ডিসেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদে বসেন তামিলনাড়ুর ক্যাডারের আইপিএস অফিসার শক্তিকান্ত দাস। প্রথম থেকেই তাঁর ইঙ্গিত ছিল কেন্দ্র সরকারের প্রয়োজনের যোগসূত্র হিসাবে কাজ করবে এই স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানটি। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত যে ঋণনীতি রয়েছে তা ঢেলে সাজানোর অনুমতি দিয়েছেন শক্তিকান্ত। এমনকি তাদের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা খতিয়ে দেখে একটি কমিটি তৈরি করার কথাও প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যার মাথায় রাখা হবে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইউ কে সিনহা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এ দিন বলেন, আগামিকাল ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন তিনি। তাদের নগদ সমস্যার কথা শোনার প্রতিশ্রুতি দেন শক্তিকান্ত।