সাধারণতন্ত্র দিবসে জয়ের প্রস্তুতি ভারতীয় শিবিরে, ভরসা কুলদীপেই


ক্রিকেট আর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুবর্ণ সুযোগ মাউন্ট মনগানুইয়ে। প্রকৃতি যেন এখানে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। সবুজ আর সবুজে চারিদিক একাকার!

কিন্তু সবার জন্য এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের বিষয় নয়। আপাতত শনিবার বে ওভালে যে দু'টি দল মুখোমুখি হবে, তারা ক্রিকেট ছেড়ে এসব রোমান্টিসিজমে মন দিতে যাবে কোন দুঃখে? বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড। সিরিজে যারা এই মুহূর্তে ০-১ পিছিয়ে।

অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ও একদিনের সিরিজে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডে এসেছেন বিরাট কোহলিরা। সিরিজ শুরুর আগে কিউয়ি শিবির থেকে বলা হচ্ছিল, আসল লড়াই এবার শুরু হবে। আসলে এই সিরিজকে বিশ্বকাপের স্টেজ রিহার্সাল বলে দেখছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। কারণ হাতে আর বেশি সময় নেই। কিন্তু নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে প্রথম ম্যাচে কিউয়িরা যেভাবে ভারতের সামনে উড়ে গিয়েছে, তাতে বে ওভালে তারা কতটা লড়াই লড়তে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে এই ভারতীয় দলকে বর্তমানে একদম অপ্রতিরোধ্য লাগছে। এমন এক দলের সামনে উইলিয়ামসনের দলকে বাড়তি কিছু করতে হবে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে এই লড়াইয়ের কোনও ছাপ অন্তত উইলিয়ামসনরা রাখতে পারেননি।

আগের ম্যাচে ভারতের একটা বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। শিখর ধাওয়ান তাঁর লম্বা অফ ফর্ম কাটিয়ে রানের মধ্যে ফিরেছেন। বিশ্বকাপে ভাল কিছু করতে হলে শিখর আর রোহিতকে দারুণ শুরু করতে হবে। হিটম্যান ফর্মেই রয়েছেন। কিন্তু চিন্তা ছিল শিখরকে নিয়ে। তিনিও এবার রানে ফিরে আসায় স্বস্তি ড্রেসিংরুমে। এদিকে ম্যাচের আগের দিন বে ওভালে ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে স্বাগত জানানো হল টিম ইন্ডিয়াকে।

নেপিয়ারে মহম্মদ সামির বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। শামিকে এখন আগের থেকে অনেক বেশি ফিট লাগছে। তিনি ম্যাকলিন পার্কের নিষ্প্রাণ পিচেও প্রচুর গতি আর বাউন্স আনতে পেরেছিলেন। তাঁকে দেখে বোঝা গেল যে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কেন বিশ্বকাপে বাংলার এই স্পিডস্টারকে সেরা হাতিয়ার বলে ধরে নিয়েছে। চাহাল আর কুলদীপ এই ম্যাচেও বিপক্ষের ত্রাস হতে পারেন। ব্যাটিংয়ে রায়ডু সম্ভবত আরও একটু সুযোগ পাবেন। হার্দিক পাণ্ডিয়ার উপর থেকে সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পর তিনি নিউজিল্যান্ড রওনা হয়েছেন। তবে এই ম্যাচে হার্দিকের খেলার সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় দলে যেটুকু পরিবর্তনের কথা আছে, সেটা হতে পারে বিরাট কোহলি তৃতীয় ম্যাচের পর ফিরে গেলে তখন শুভমান গিলের মতো নতুন মুখদের দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলে। তবে সেটা সিরিজে ভারত এগিয়ে থাকলেই।

এদিকে পৃথ্বী শ, শুভমান গিলের মতো নতুন ছেলেরা উঠে আসায় ভারতীয় দলে লড়াই বেড়ে গিয়েছে, এদিন বললেন শিখর ধাওয়ান। তিনি বলেন, "আমার মনে হয় এইসব ছেলেরা এখন খুব তাড়াতাড়ি পরিণত হচ্ছে। এর ফলে দলে ঢোকার লড়াই প্রবল চেহারা নিচ্ছে। এটা একদিক থেকে ভালই হয়েছে। সবাই রান করা বা উইকেট নেওয়ার জন্য একেবারে মুখিয়ে রয়েছে।" আগের ম্যাচে ধাওয়ান ৭৫ অপরাজিত থাকার পথে একদিনের ক্রিকেটে পাঁচ হাজার পূর্ণ করেছেন। যা নিয়ে তিনি এদিন বললেন, "তার মানে ভালই করছি। রান পাচ্ছি। ব্যস, এভাবেই এখন আমি চালিয়ে যেতে চাই। ছন্দ ধরে রাখতে চাই।"