বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এল ২৩ কোটি টাকার! মাথায় হাত গৃহস্থের


এক কামরার ছোট্ট বাড়ি৷ বৈদ্যুতিক সামগ্রী বলতে আলো, পাখা, ফ্রিজ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ খুব বেশি হলে দুই কিলোওয়াট বিদ্যুৎ অপচয় হয়৷ সামান্য এই বিদ্যুত ব্যবহারের জেরে ২৩ কোটি টাকা বিল এসেছে গৃহকর্তার৷ বিপুল অঙ্কের বিল হাতে পেয়ে অবাক তিনি৷ কীভাবে বিল মেটাবেন তিনি, এই ভাবনায় মাথায় হাত পড়েছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বাসিত৷

প্রতি মাসেই বিদ্যুতের বিল আসে খুব বেশি হলেও হাজার চারেক টাকা৷ কিন্তু চলতি মাসে বিদ্যুতের বিল হাতে নিয়ে কার্যত তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তিনি৷ ২৩ কোটি টাকাও যে কোনও বাড়ির বিদ্যুতের বিলের অঙ্ক হতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না আবদুল৷ প্রথমে ভেবেছিলেন কোনও কারণে তিনি হয়তো ভুল দেখছেন৷ দেখিয়েছেন পাড়া প্রতিবেশীদের৷ কিন্তু না, বৃথা এই ভাবনা৷ দেরিতে হলেও, বিশ্বাস করেছেন তিনি যে মাত্র ১৭৮ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচের বিনিময়ে তাঁকে নাকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিতে হবে ২৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৫২৪ টাকা৷ তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ দপ্তরে ছুটে গিয়েছেন তিনি৷ আবদুল বাসিত বলেন, ''আমি এক জীবনে এত টাকা কখনও উপার্জনই করিনি৷ কীভাবে ২৩ কোটিরও বেশি অঙ্কের বিদ্যুতের বিল মেটাব, তা বুঝতেই পারছিনা৷''

শুধুমাত্র আলো, পাখা এবং ফ্রিজ চালিয়ে কীভাবে এত টাকা বিল আসা সম্ভব, তা বুঝতেই পারছেন না গৃহকর্তা৷ বাধ্য হয়ে বিল হাতে বিদ্যুৎ দপ্তরেও ছুটে গিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু লাভ হয়নি এতটুকুও৷ বিল যে তাঁকে মেটাতেই হবে, তা বুঝে গিয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা৷ বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিকের দাবি, ''যিনি মিটার রিডিং করেছিলেন, তাঁর ভুল হতেও পারে৷ তবে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় যে ওই গৃহকর্তা আদতে এই অঙ্কের বিদ্যুৎ খরচ করেছিলেন কীনা৷ তদন্ত না করে এখনই কিছু বলা যাবে না৷'' ওই আধিকারিকের আরও দাবি, বিপুল অঙ্ক হলেও বিদ্যুতের বিল মেটাতেই হবে গৃহকর্তাকে৷ বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারলে সরকারি নিয়মানুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে বলেও জানান ওই আধিকারিক৷ কীভাবে ২৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুতের বিল মেটাবেন তিনি, সেই ভাবনাতেই আপাতত রাতের ঘুম উড়েছে ভুক্তভোগী গৃহকর্তার৷