নিখিলকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু


আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জেলাশাসকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছে নবান্ন। ভোটার তালিকার কাজ চলছে। জেলাশাসকরাই এই কাজের দায়িত্বে। সেজন্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিবের‌ দায়িত্বে থাকা এক আইএএস–কেই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক করে পাঠানো হচ্ছে।

নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে। থানায় ঢুকে এই জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রী অভিযুক্ত বিনোদ সরকারকে যেভাবে মারধর করেছেন, তা আইনবিরুদ্ধ‌। শুধু তাই নয়, থানার লকআপে মারধর করায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত শুরু করেছে মানবাধিকার কমিশনও। ফালাকাটা থানার আইসি–ও জেলাশাসকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযুক্ত বিনোদের বাবা রাজমোহন সরকার জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার ঘটনার পরই জেলাশাসককে ১০ দিনের ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণনকে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করায় বিনোদ সরকার নামে এক যুবককে থানায় ডেকে এনে মারধরের অভিযোগ ওঠে জেলাশাসক নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে।‌‌ ফালাকাটা থানায় ঢুকে ধৃত বিনোদকে মারধরের ঘটনায় নিখিল নির্মল ও তঁার স্ত্রী‌র শাস্তির দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েকটি সংগঠন।

এদিকে, মঙ্গলবার ধৃত বিনোদ জামিনে ছাড়া পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, '‌রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।'‌ দুপুরে বিনোদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেলে বিনোদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা বিনোদের কোনও সন্ধান পাচ্ছেন না। তাঁর কাকা ললিতমোহন সরকার বলেন, '‌হাসপাতালে পুলিস বিনোদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। তবে বিকেলের পর থেকে বিনোদকে পাচ্ছি না।' রাত পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি বলেই জানা গেছে। এদিনই ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক হিসেবে‌ ডুয়ার্সকন্যায় গিয়ে দায়িত্ব নেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌উন্নয়ন)‌ চিরঞ্জিত ঘোষ। উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি বৈঠকও করেন তিনি।