লিভ ইনে সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট


লিভ ইন সম্পর্কে অযাচিত কারণে পুরুষ বিবাহে অক্ষম হলে, সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।    

মহারাষ্ট্রের এক চিকিত্সকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর করেছিলেন। এফআইআর খারিজ করে বিচারপতি একে সিকরি ও এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণ ও সম্মতির ভিত্তিতে সেক্সের মধ্যে ফারাক রয়েছে। অভিযোগকারিণী সত্যিই কি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, নাকি তাঁর অন্য উদ্দেশ্য ছিল? এমনকি বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি বলেও মনে করে আদালত।

এফআইআর অনুযায়ী, ওই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের পর চিকিত্সকের প্রেমে পড়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁরা একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে, যে বিবাহ করতে অপরাগ অভিযুক্ত। ভবিষ্যতে এমন কিছু ঘটতে পারে যা তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এমনটা হয়তো ভাবেননি তিনি। এই ধরনের মামলাকে অন্য ভাবে দেখা দরকার।

আদালত আরও জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই একসঙ্গে থাকছিলেন তাঁরা। কিন্তু ওই মহিলা যখন জানতে পারেন, তিনি অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন, তখনই অভিযোগ দায়ের করেন। এফআইআরে আনা অভিযোগগুলি কোনওভাবেই প্রযোজ্য হচ্ছে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ) খাটে না।

তাঁর বিরুদ্ধে মামলা খারিজের দাবিতে বোম্বাই হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ওই চিকিত্সক। সেই মামলায় হারার পর সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন তিনি।