উনিশে, একুশে পা তৃণমূলের, নতুন বছরে দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


ঘড়ির কাঁটায় ঠিক বারোটা বাজতেই নিউ ইয়ার ইভে মেতে উঠল গোটা দেশ। বিদায় ২০১৮, স্বাগত ২০১৯। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে গেল। একুশে পা দিল তৃণমূল কংগ্রেসও। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে নতুন বার্তা দিয়ে বললেন, এই বছর হবে দেশের ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন।

১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনের সেই চারা গাছ(তৃণমূল কংগ্রেস)আজ মহীরূহ।  একুশে পা দেওয়ার প্রাক্কালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "একুশে পা তৃণমূলের। সাবালকত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দলের পক্ষ থেকে মা-মা-মাটি-মানুষকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম ও সালাম। মানুষের স্বার্থে আমাদের লড়াই চলছে, চলবে।"

একুশে পা তৃণমূলের। সাবালকত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দলের পক্ষ থেকে মা-মা-মাটি-মানুষকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম ও সালাম। মানুষের স্বার্থে আমাদের লড়াই চলছে, চলবে।

দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে মা-মাটি-মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একুশের জয়গান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, "একুশ কখনও ভয় পায় না, একুশ কখনও মাথা নত করে না, একুশ কখনও মানুষের পাশ থেকে সরে যায় না। একুশ কখনও ভাগাভাগি করে না। একুশ কখনও ভাঙে না, একুশ কখনও দুর্বল মানুষের পাশ থেকে সরে যায় না। একুশ কখনও ছাত্র জীবনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করে না।একুশ লড়াই করে। একুশ সংগ্রাম করে, একুশ বাঁচতে শেখায়। একুশ ভিশন দেখায়, একুশ মিশন দেখায়। একুশ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অধিকার অর্জনের পালা শুরু করে দেয় ..."

মুখ্যমন্ত্রী কোন মিশন বা ভিশনের কথা বলছেন সেটাও স্পষ্ট করেছেন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তিনি বলেন, "...ভারতবর্ষের সংসদে যেন গণতন্ত্র প্রতিষ্টিত হয়, যে সরকার আছে তার যেন পরিবর্তন হয়। নতুন সরকার মা মাটি মানুষের সরকার, মানে মানুষের সঙ্গে যারা থাকবেন তারা , তাদের সবাইকে নিয়ে, সমষ্টিগতভাবে একটা সরকার তৈরি হোক সব রাজ্যের সব প্রতিনিধিদের নিয়ে, যেখানে মানুষ প্রায়োরিটি পাক..."