ইভিএম হ্যাক করেই ২০১৪-র নির্বাচনে জিতেছিলেন মোদী, বিদেশে বসে চাঞ্চল্যকর দাবি প্রবাসী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের


ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। ২০১৪ সালে ইভিএম হ্যাক করেই বিপুল জয় পেয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। সেকথা জেনে ফেলায় খুন হতে হয়েছে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে ও সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এমনই সব চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ সৈয়দ শুজা। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই ইভিএম হ্যাক করার কৌশল হাতে কলমে দেখান তিনি। 

শুজার দাবি, ইভিএম-এর নির্মাতা সংস্থা ইলেক্ট্রনিক্স করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় কাজ করেছেন তিনি। ফলে ইভিএম হ্যাক করার কৌশল তাঁর জানা। শুজার দাবি, ইভিএম হ্যাক হওয়ায় ২০১৪-র নির্বাচনে ২০১টি আসনে হার হয়েছিল কংগ্রেসের। 

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখে কাপড় বেঁধে হাজির হন তথাকথিত ওই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ওই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। 

সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সৈয়দ শুজা বলেন, বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে ইভিএম হ্যাকের কথা জেনে গিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে তিনি সেকথা জানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তাই পরিকল্পিত ভাবে সরকার গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই খুন করা হয় তাঁকে। 

সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশও এই খবর প্রকাশ করতে রাজি হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শুজা। তাঁর দাবি, সেকারণেই তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। 

প্রকাশ্যে এল কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিধায়ক আনন্দ সিংয়ের

শুজার যাবতীয় অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ করা হচ্ছে। 

ওদিকে ওই সাংবাদিক বৈঠকে কপিল সিবালের হাজিরা নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে পদ থেকে সরাতে সব করতে পারে কংগ্রেস।' তাঁর পালটা অভিযোগ, 'এই ধরণের লোকজন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। তারা মোদীকে সরানোর জন্য মাঝে মাঝে পাকিস্তানেও পরামর্শ নিতে যান। ২০১৯-এর নির্বাচনে চরম পরাজয়ের আশঙ্কায় হ্যাকিংকে ঢাল করতে চাইছে কংগ্রেস।'