ভারতরত্ন মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত নানাজি দেশমুখ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানুন


ভারতরত্ন মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে নানাজি দেশমুখকে। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া মহারাষ্ট্রের পরভানি জেলার কাদোলি শহরে। এই শহরেই ১৯১১ সালের ১১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন নানাজি দেশমুখ। সমাজকর্মী হিসাবে মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকাকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন নানাজি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক দলের সদস্য নানাজি দেশমুখ জেপি মুভমেন্টেও এক প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন।

ব্রিটিশ রাজত্বে দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খলকে চোখের সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন নানাজি। শিক্ষায় ছোটবেলা থেকেই তাঁর আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু পড়াশোনা করার মতো অর্থ তার পরিবারের কাছে ছিল না। সেই জন্য সবজি বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ তুলতেন নানাজি। ছোট থেকে বালগঙ্গাধর তিলকের আদর্শে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। সিকারের স্কুলে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। পড়াশোনায় তাঁর মেধা দেখে সিকারের রাওরাজা তাঁকে স্কলারশিপ দিয়েছিলেন। বিড়লা কলেজ যা এখন বিটস পিলানি নামে পরিচিত সেখানে পড়াকালীনই তিনি আরএসএস-এর সংস্পর্শে আসেন।

ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন নানাজি দেশমুখ। ২০১০ সালে ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৮ বছর পর দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন নানাজি। দেশের প্রতি তাঁর অবদানের কথা স্মরণে রেখে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে বলে পরে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।
টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'নানাজির এক অত্যন্ত মূল্যবান অবদান ছিল গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন। তাঁর দেখানো রাস্তা গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীদের আর্থিক বিকাশে এক নতুন দিশা তৈরি করেছিল। তিনি সহায়সম্বলহীনদের জন্য নম্রতা, সমবেদনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তিনি সত্যিকারেই একজন প্রকৃতি ভারতরত্ন।'

নানাজি দেশমুখ যখন আরএসএস জয়েন করেছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩। ১৯২৬ সালে নাগপুরে দাঙ্গায় এলাকাছাড়া হতে হয় হিন্দুদের। এরপরই আরএসএস-এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে ১৯৯৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন নানাজি। নানাজি মনে করতেন আরএসএস-ই পারে একমাত্র দেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করতে।

ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে জেপি মুভমেন্টের এক অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন নানাজি। লোক সংঘর্ষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। জয়প্রকাশ নারায়ণের টোটাল রেভলিউশনে এক অন্যতম খুঁটি হয়েছিলেন তিনি।