নতুন আইফোনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে অ্যাপেল?


সংখ্যা কখনও ভুল কথা বলে জা। আর গত কয়েক মাসে যেভাবে হু হু করে আইফোন বিক্রি কমেছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে টিম কুকের কপালে। গত এক বছরে কোম্পানির সুপারহিট প্রোডাক্ট আইফোন ফ্লপ করতে শুরু করেছে। এখন আর অন্যান্য বছরের মতো লেটেস্ট আইফোনের চাহিদা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ভাবে চলতে থাকলে অ্যাপেল কে নতুন কিছু ভাবতে হবে।

তাই কোম্পানি জুড়ে আইফোনের বিক্রি কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইফোন বিক্রি কমার অন্যতম কারন লেটেস্ট আইফোনের আকাশ ছোঁয়া দাম। সেই কথা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছে অ্যাপেল। তাই এবার কম দামের আইফোন এসই ফিরিয়ে আনতে চলেছে কুপার্টিনোর কোম্পানিটি।
বহু দিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন এসই বিক্রি বন্ধ করেছিল অ্যাপেল। এই সপ্তাহের শুরুতেই আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত সময়ের জন্য এই ফোন বিক্রি শুরু করেছিল কোম্পানি। বিক্রি শুরুর পরে মুহুর্তে সেই ফোনের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন আইফোন বিক্রি বাড়াতে আইফোন এসই এর নতুন ভেরিয়েন্ট বাজারে আনা প্রযোজন।

এই সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন এসই পুনরায় বিক্রি হওয়ার পরে মুহুর্তে স্টক শেষ হয়েছে এই ফোনের। অর্থাৎ বাজারে কম দামের আইফোনের চাহিদা তুঙ্গে। আইফোন এসই এর প্রথম জেনারেশান দারুন জনপ্রিয় হয়েছিল। ভারতে এখনও এই ফোন পাওয়া যায়।

মুহুর্তে আইফোন এসই এর স্টক শেষ হয়ে যাওয়া প্রমাণ করে মানুষ এখনও আইফোন কিনতে চায়। কিন্তু আকাশছোঁয়া দামে আপত্তি তাদের। সব থেকে কম দামের আইফোনের দামও লেটেস্ট প্রিমিয়াম অ্যানড্রয়েড ফোনের থেকে বেশি। লেটেস্ট আইফোন টেনআর এর দাম শুরু হচ্ছে ৭৬,৯০০ টাকা থেকে। তবে নিজের দামের প্রতি দারুন সুবিচার করে আইফোন এসই। কম দামের এই আইফোনে সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। আইফোন সিক্সএস আর আইফোন এসই ফোনের ভিতরে একই প্রসেসার রয়েছে।

বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন মাজার ভারত। সেখানে কোন ভাবেই দাগ কাটতে পারছে না অ্যাপেল। প্রধান কারন অবশ্যই আকাশ ছোঁয়া দাম। তাই নতুন বাজেট আইফোন ভারতে কোম্পানির ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সাহায্য করবে।