কর্মবিরতি প্রত্যাহার কর্মীদের, অচলঅবস্থা কাটল হলদিয়া বন্দরের


ইউনিয়নের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে জট কাটল। হলদিয়া বন্দরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন মুরিং ক্রুরা। আন্দোলনকারীদের শোকজ ও ইউনিয়নের এক নেতাকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পর্যাপ্ত কর্মী নেই। যাঁরা জাহাজ বেঁধে ফেলার কাজ করেন, তাঁদের প্রতিদিন ওভারটাইম করতে হয়। প্রতিবাদে হলদিয়া বন্দরে আন্দোলনে নেমেছিলেন মুরিং ক্রুরা। চলছিল কর্মবিরতি। রবিবার বিকেল থেকে কাজকর্ম শিকেয় ওঠেছিল বন্দরে। মাল খালাস হয়নি ৯টি জাহাজের। বন্দরের কাছে স্যান্ডহেডে আটকে ২৬টি পণ্যবাহী জাহাজ। কর্মী ইউনিয়নের এক নেতাকে সাসপেন্ড করে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। শোকজ করা হয় ১১ জন মুরিং ক্রুকেও। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। হলদিয়া বন্দরে কর্মবিরতির জন্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। শেষপর্যন্ত, মঙ্গলবার সকালে বন্দরের কর্মী ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। দুপুরে বৈঠক হয় হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে। সেই আলোচনাতেই সমাধানসূত্র মিলল।

এ রাজ্যের একমাত্র সচল বন্দর হলদিয়া বন্দর। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার মাল খালাস হয় এই বন্দরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও জাহাজ আসে হলদিয়া বন্দরে। কিন্তু, যে হারে জাহাজ চলাচল করে, সে তুলনায় হলদিয়া বন্দরের পরিকাঠামো যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ। হলদি নদীর নাব্যতাজনিত সমস্যার কারণ বড় জাহাজ বন্দর পর্যন্ত আসতে পারে না। তার উপর কর্মীদের কর্মবিরতিতে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।