আগের মতো স্বাদ নেই, ফলনও কম দার্জিলিঙের কমলার


কার্শিয়ং : দার্জিলিং পাহাড়ের কমলার আর আগের মতো স্বাদ নেই। আগের তুলনায় ফলনও কমেছে অনেকটাই। এর জেরে মাথায় হাত দার্জিলিং পাহাড়ের কার্শিয়ং, মিরিক, তাকদা, সুখিয়ার কমলা চাষিদের। বিশেষজ্ঞরা এজন্য আবহাওয়ার খামেখেয়ালিপনা ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারকেই দায়ি করেছেন।

স্বাদে ও গন্ধে দার্জিলিঙের কমলা নাগপুর বা ভুটানের কমলার থেকে এগিয়ে। বাজারে দার্জিলিঙের কমলার চাহিদা তাই বেশি। টি, টিম্বার ও টুরিজ়ম - এই থ্রি-টি'র শহর দার্জিলিঙ তার কমলার জন্যেও দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট পরিচিত। দার্জিলিঙের কমলা বিদেশে রপ্তানি হয়। 

এবছর কমলার ফলন ভালো না হওয়ায় লাভ তো দূরের কথা, চাষের খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে চাষিরা। অনেক বাগানেই কমলা গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। পাকার আগেই কমলা গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। কমলা ব্যবসায়ী ধীরাজ ছেত্রী জানান, কার্সিয়াঙের সিটোং, সিবিটার, রোলক অম্বুটিয়ায় এবছর কমলার ফলন নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, "একেই কমলার ফলন কম, তার উপর কমলার স্বাদও এবার ভালো নয়। তাই অনেক কম দামে কমলা বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কমলার বাগান এক লাখ টাকা দিয়ে লিজ় নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে ৮০-৯০ হাজার টাকার বেশি কমলা পাওয়া যাচ্ছে না।"

কার্শিয়ং ব্লকের দিলীপ গুরুং, রুপেন্দ্র রাই, বিবি রাই সহ অন্যান্য কমলা চাষিরা জানান, ফলন কম হওয়ায় ইতিমধ্যে অনেকেই কমলা চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার কমলা বাগানে এলাচ চাষ শুরু করছেন। 

কৃষি বিশেষজ্ঞরা এই অবস্থার জন্য খামখেয়ালি আবহাওয়া ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারকেই দায়ি করেছেন। কার্শিয়ং মহকুমার সহকারী কৃষি অধিকর্তা আর পি সান্যাল বলেন, "বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কমলা চাষ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এজন্য চাষিদের সচেতন করা প্রয়োজন। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।"