৭ কোটি চটের ব্যাগ কিনবে খাদ্য দপ্তর


পাট শিল্পকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। সোমবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, 'সরকার ৭ কোটি জুট ব্যাগ কিনছে। জেসিআই–‌এর মাধ্যমে এই ব্যাগ কেনা হবে। তাঁদের বলা হয়েছে, রাজ্যের বাইরে থেকে কেনা যাবে না। আমাদের রাজ্য থেকেই কিনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগেই এই পরিকল্পনা। বাঁচিয়ে রাখতে হবে কারখানাগুলো।'‌

তাঁর অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্য কেন্দ্র থেকে সব রকম সহযোগিতা পেলেও, বাংলা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে না। খাদ্যভবনে বসে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রেশন দোকানগুলির ওপর নজরদারি বাড়াতে দোকানে বসানো হচ্ছে কম্পিউটর। আপাতত ৩৬০টি রেশন দোকান কম্পিউটরাইজড করা হয়েছে। আগামী বছরে ২০ হাজার ২০০টি দোকানে এই কম্পিউটর বসানো হবে।'‌

তাঁর বক্তব্য, '‌যাঁরা রেশন দোকান থেকে কার্ডের মাধ্যমে জিনিসপত্র পান, তাঁদের জন্যই এই কম্পিউটর বসানো হচ্ছে। এতে দেখা যাবে, সঠিক ওজন, জিনিসপত্রের গুণগত মান ও রেশনের দোকানে কত পরিমাণ জিনিসপত্র আছে। দেখা গেল, দোকান থেকে বিলিবণ্টন করার পর অতিরিক্ত কিছু জিনিস থেকে গেল। পরেরবার ডিলাররা যখন চাল, গম ইত্যাদি তুলবেন, তখন আগের হিসেবের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁদের জিনিসপত্র দেওয়া হবে। সার্ভারে সব হিসেব থাকবে। খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা সঠিক হিসেব পাবেন। ধরা যাক, কোনও রেশন দোকানে গিয়ে রেশন চাইলে দোকান থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে, স্টক শেষ। এটা সঠিক কিনা, কম্পিউটরে ধরা যাবে।'‌ খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, '‌প্রতিটি দোকানে দুজন ইনস্পেক্টর থাকছেন। তাঁরা কড়া নজর রাখছেন। সাধারণ মানুষকে কোনও অভিযোগ আমরা করতে দেব না।'‌ ধান কেনা সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ধান দাও, চেক নাও। ইতিমধ্যে ৬৫০টি ক্যাম্প চালু হয়েছে। ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। কৃষকদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় ১০৮টি ও তৃতীয় দফায় ৬৩টি ক্যাম্প করা হবে। ৩০০ ব্লকে মোট ২ হাজার ধান কেনার শিবির করা হবে।‌ জ্যোতিপ্রিয় বলেন, '‌ইতিমধ্যে ১২ লক্ষ টন ধান কিনতে পেরেছি আমরা। গত বছর এই সময় ৩ লক্ষ টন ধান কিনতে পেরেছিলাম।'‌