ন্যায্য রেশন নেই, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের


সিউড়ি: নায্য রেশন মেলে না। প্রতিবাদে সোমবার রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। বীরভূমের খয়রাশোলের বরঘাটা গ্রামে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার রেশনে কি বরাদ্দ করছে তা তারা জানতে পারেন না। সপ্তাহে মাত্র দু দিন রেশন দোকান খোলা থাকে। জঙ্গল মহলে বাড়তি বরাদ্দ থাকলেও তা গ্রাহকদের কপালে জোটে না। এমনকি ২ টাকা ৬২ পয়সার আটা ৩ টাকা কেজি প্রতি কিনতে হয়। তাদের দাবি এ নিয়ে তারা এলাকার খাদ্য পরিদর্শককে লিখিত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন সব ঠিক আছে। বিডিও কে জানিয়েছেন। তবুও কোনও কাজ হয়নি।

এদিন তারা জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখাবেন। গ্রামবাসীদের দাবি কোন সপ্তাহে কত মাল এসেছে। বরাদ্দ কত, তা লিখে টাঙাতে হবে। সাদা কাগজের রসিদে তারা মাল নেবেন না। তাদের ছাপা রসিদ দিতে হবে। বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না।

রেশন ডিলার্স এসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক অলক ঠাকুর বলেন, মাসের শেষ সপ্তাহে কম আটা দেয়। সেটা সরকারিভাবে সকলেই জানে। কিন্তু গ্রাহকরা তা মানতে চাইছে না। সে নিয়ে বিপত্তি। তবে তালিকা টাঙানো,ছাপা রসিদের দাবি গ্রামবাসীদের ন্যায় সঙ্গত। অভিযুক্ত রেশন ডিলার উত্তম ঘোষ এদিন বিক্ষোভ দেখে দোকান খোলেননি।

পরিবারের তরফে জানান হয় চিকিতসার জন্য তিনি বাইরে আছেন।ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে জেলা খাদ্য নিয়ামক তরুন মন্ডল বলেন,অভিযোগ জানান সত্বেও এলাকার খাদ্য পরিদর্শক কেন বিষয়টি দেখেন নি। তা দেখা হবে। তবে ওই গ্রামে গ্রাহকরা নায্য রেশন পাবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।

গ্রাহকদের মধ্যে জগন্ননাথ ঘোষ বলেন,আমরা বামফ্রন্ট আমল থেকে বঞ্চিত। এই সরকার বরাদ্দ করলেও তা আমাদের কাছে এসে পৌঁচ্ছাছে না। সাদা কাগজে রসিদ দেওয়া হয়। তাতে না থাকে দিনের উল্লেখ, না দোকানের নাম। আমরা এমন রেশন নেব না। গ্রাহক সুমিত্রা দাস বলেন, আমাদের সাড়ে সাতশো গ্রামের আটা ধরিয়ে দেয়। অথচ আমারা কার্ড পিছু তিন কেজি আটা পাব। চাল দেয় এক কেজি। পাওনা ৮ কেজি। আমরা সুষ্ঠভাবে এর পরিচালনা চায়।

আরেক গ্রাহক মম দাসের অভিযোগ আমরা জেলাশাসক থেকে অনান্য সবাইকে জানিয়েছি। গত ছ'মাস ধরে নানা টালবাহানা চলছে। মামলা করেছি। কোনও সুরাহা হয়নি। বরং বিক্ষোভের পর রেশনে কিছুদিন বরাদ্দ বাড়ে আবার ফের কমে যায়। তবে এবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন নজরদারির আশ্বাস দিয়েছে।