চাকরি অঢেল, নেয় না কেউ: জাভড়েকর


চাকরি প্রচুর আছে, লোকে নিতেই চায় না। দেশে বেকারত্বের বাজারে কতকটা এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক বাধালেন নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষা মন্ত্রী। দিল্লিতে এক সভায় প্রকাশ জাভড়েকর বললেন, ''গত পাঁচ বছরে সরকার অনেক কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু যাঁরা স্বেচ্ছায় কাজ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের বেকার বলা যায় না।''

গত লোকসভা ভোটের আগে বছরে ২ কোটি রোজগারের প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। সে হিসেব ধরলে পাঁচ বছরে দশ কোটি চাকরি হত। কংগ্রেসের অভিযোগ, নতুন রোজগার তো দূর! নোটবন্দি-জিএসটি-র পরে কয়েক কোটি চাকরি কমে গিয়েছে। সরকারের অনেক পদও শূন্য। এরই মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। দলের নেতা গৌরব বল্লভ বলেন, ''জুমলারও একটা সীমা থাকে। দেশের যুবকেরা কাজ পান না। কেরানির চাকরির জন্য পিএইচডি, এমবিএ ছাত্রেরা আবেদন করেন। এর পরেও মন্ত্রী বলতে পারেন, স্বেচ্ছায় কেউ চাকরি করতে চান না?'' 

বিতর্ক লঘু করতে পীযূষ গয়াল আজ বলেন, ''কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। কিন্তু তার পরিসংখ্যান নেই।'' প্রসঙ্গত, গত বছরেই নীতি আয়োগকে মোদী নির্দেশ দেন, কাজের কত সুযোগ হয়েছে, তার হিসেব বার করতে। কিন্তু তা আজও আসেনি। 

কংগ্রেসের দাবি, সরকার কথায় কথায় 'মুদ্রা' প্রকল্পকে সামনে রেখে চাকরি হয়েছে বলে দাবি করে। তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। সরকারি হিসেব বলছে, কৃষকদের আয় কমছে, রোজগার বৃদ্ধির একটিও সূচক অনুকূল নয়। জিডিপির হার বাড়ছে, কিন্তু সেটি শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রের হিসেব। নোটবন্দি আর জিএসটি-র পরে অসংগঠিত ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে কাজ আসবে কোথা থেকে?