মধ্যরাতে সোদপুরের ফ্ল্যাটে শুটআউট, খুন কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়া


রাতদুপুরে একদল দুষ্কৃতী হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল সোদপুরের একটি ফ্ল্যাটে। তারপর পরপর গুলি। ঝাঁঝরা হয়ে গেল হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামমূর্তি দিয়ারা ওরফে রামুয়া।

রামুয়ার পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাত একটা নাগাদ সোদপুরের তাদের ফ্ল্যাটে জোর করে ঢুকে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্রধারী একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে তারা এসে কলিং বেল বাজায়। রামুয়ার এক ছেলে নীচের তলায় এসে দরজা খোলে। দরজা খুলতেই তাকে পাসে টেনে নিয়ে মুখে চাপা দিয়ে কাবু করে ফেলা হয়। মাথায় ঠেকিয়ে রাখা হয় রিভালবার।

ছেলেকে কাবু করে ফেলার পরই দুষ্কৃতীদের মধ্যে ৭-৮ জন জোর করে ওপরের তিন তলায় উঠে যায়। সেখানে রামুয়াকে ঘর থেকে বের করে এনে তার কানের পাশে ২ রাউন্ড গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা বলে যায় পুলিসকে বললে গোটা পরিবারটাকেই শেষ করে দেওয়া হবে।

পরিবারের লোকজন রামুয়াকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে খড়দা থানার পুলিস। তবে কেন ওই ঘটনার পর পুলিসকে জানানো হয়নি তা নিয়ে জেরা করা হচ্ছে রামুয়ার পরিবারের সদস্যদের।

উল্লেখ্য, রামুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। হাওড়া, কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে বেড়াত বলে অভিযোগ। কয়েক বছর আগেই একজনকে প্রকাশ্যে গলা কেটে খুন করে সে। একবার সে অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ ধরা পড়ে। তার পর সে কিছুদিন জেলেই ছিল। মাস তিনেক আগেই সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তারপর থেকে সে কোথায় ছিল তার কোনও হদিশ পুলিসের কাছে ছিল না। তবে তোলাবাজি থেকে খুন সহ একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল রামুয়া।

এরকম একজন দুষ্কৃতীর অপরাধ জগতে একাধিক শত্রু থাকতে পারে। কিন্তু কারা রামুয়াকে মেরেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।