বৌদির সঙ্গে ‘মাখো মাখো’ সম্পর্ক ভালো ঠেকেনি স্ত্রীর, এক লহমায় ভেঙে গেল সব স্বপ্ন


বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ঠেকেনি সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর। তারই জেরে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বিয়ের এক বছর কাটতে না কাটতেই সুখের সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ তরুণীর। চুরমার হয়ে গেল তাঁর সংসার গড়ার স্বপ্ন। অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তরুণী গৃহবধূর। নদিয়ার তাহেরপুরে ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম সুজাতা মিত্র(১৯)। ২০১৮-র ১ ফেব্রুয়ারি তাহেরপুরের বাদকুল্লা বাপুজিনগর গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতার। সুজাতার বাপের বাড়ি মালদহের মুচিয়ায়। দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়েতে পণও নেয় বরপক্ষ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে সুজাতার বাবা-মা শ্বশুরবাড়িতে পাঠান সুজাতাকে।

কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে এসেই সুজাতার ভালো ঠেকেনি স্বামীর সঙ্গে বৌদির আচার-আচরণ। মনে খটকা লেগেছিল প্রথম থেকেই। মনের কোণে সন্দেহ দানা বাঁধলেও তিনি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর তার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় দেওর-বৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। বড় বৌদির সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সুজাতা সরবও হয়।

আর তারপরই সুজাতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ সুজাতার বাপের বাড়ির। বাড়ি থেকে আরও পণ আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হতে থাকে। না আনতে পারলেই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ত। আর এই অভিযোগ, তাঁর স্বামী, বড় জা ও ভাসুরের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, স্বামী-জা মিলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। এই ঘটনায় সুজাতার স্বামী, জা ও ভাসুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা যোগেন বিশ্বাস। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।