বাড়ছে রাজধানী এক্সপ্রেসে কোচের সংখ্যা


শতাব্দী, দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেন অথবা অন্যান্য দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেসের তুলনায় এবার অনেক দ্রুত কনফার্মড টিকিট পাবেন রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। কারণ আরও দু'টি বাড়তি কোচ পেতে চলেছে রাজধানী এক্সপ্রেস। মূলত রাজধানী এক্সপ্রেসের জেনারেটর পাওয়ার কারের জায়গায় আসতে চলেছে ওই দু'টি অতিরিক্ত কোচ। নতুন ব্যবস্থায় উল্লিখিত পাওয়ার জেনারেটর বসানো হবে ট্রেনের প্যান্ট্রি কারের নীচে রেলের চাকার ঠিক পাশে। আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাছাই করা কয়েকটি রাজধানী এক্সপ্রেস রুটে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

সরকারি সূত্রের খবর, রেলের দুর্ঘটনারোধী এলএইচবি রেক থেকে জেনারেটর পাওয়ার কারকে পুরোপুরি দূর করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। তারই প্রথম ধাপের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো জনপ্রিয় প্রিমিয়াম ট্রেনকে। এমনিতে রাজধানী এক্সপ্রেসে ২০/২১টির মতো কোচ থাকে। যেমন হাওড়া থেকে ছাড়া কলকাতা রাজধানী এক্সপ্রেসে থাকে ২০টি কোচ। তার মধ্যে ফার্স্ট এসি থাকে দু'টি। সেকেন্ড এসি থাকে পাঁচটি। থার্ড এসি দেওয়া হয় ১০টি। প্যান্ট্রি কার থাকে একটি। পাওয়ার কার থাকে দু'টি। আবার মুম্বই সেন্ট্রাল-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে মোট কোচের সংখ্যা থাকে ২১টি। যার মধ্যে একটি ফার্স্ট এসি, পাঁচটি সেকেন্ড এসি, ১১টি থার্ড এসি, দু'টি প্যান্ট্রি কার এবং দু'টি জেনারেটর পাওয়ার কার কোচ থাকে। এই দু'টি জেনারেটর পাওয়ার কার তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে চলেছে রেল।

মন্ত্রক সূত্রের খবর, জেনারেটর পাওয়ার কারগুলি দু'টি কোচের জায়গা দখল করে থাকে। তার পরিবর্তে দু'টি অতিরিক্ত কোচের বন্দোবস্ত করা হলে যাত্রীরা যেমন অনেক বেশি কনফার্মড টিকিট কাটতে পারবেন, তেমনই রেলের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। যদিও সেই দু'টি অতিরিক্ত কোচ সেকেন্ড এসি হবে, নাকি থার্ড এসি, অথবা একটি সেকেন্ড এবং একটি থার্ড এসি কোচ হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, রাজধানী এক্সপ্রেস সহ অন্য প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে একবার আপ-ডাউনের জন্য তিন থেকে চার হাজার লিটার ডিজেল লাগে। আর একটি পাওয়ার কার উৎপাদন করতে পারে ১৪০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। অথচ এক্ষেত্রে প্রয়োজন ২৮০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। যা দু'টি পাওয়ার কার থেকে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নয়া ব্যবস্থায় ডিজেলের পরিবর্তে ওভারহেড তারের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের প্যান্ট্রি কারের নীচে রেলের চাকার পাশে লাগানো পাওয়ার জেনারেটরের। তা থেকেই মিলবে বিদ্যুৎ। পাশাপাশি ডিজেলের ব্যবহার না হলে পরিবেশগত দূষণের আশঙ্কাও কমবে অনেকটাই। রাজস্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট করে এই বিষয়টিকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে রেলমন্ত্রক। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে এলএইচবি রেকের এসি এবং স্লিপার ক্লাসের জন্য দু'টো জেনারেটর সেটের প্রয়োজন হয়।