ঘুমন্ত অবস্থাতেই গুড্ডুর গলার নলি কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা, ধৃত খুনে জড়িত ২


হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে মানোয়ার আলি ওরফে গুড্ডু খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্তত পাঁচজন মিলে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিসের। ইতিমধ্যেই তমন্না ও পোলার্ড নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতেরা গুড্ডুর পুরনো সঙ্গী বলে পরিচিত।

পুলিসের অনুমান, গুড্ডু ও তার দলবল রামুয়াকে খুন করেছে এই সন্দেহেই তাকে খুন করা হয়। রামুয়া খুনের পর এলাকার দখল নিতে ঢুকেছে গুড্ডু, এটা জানার পরই তাকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়। এমনই অনুমান করছে পুলিস। আগে হাওড়া সন্ধ্যাবাজার এলাকায় থাকত গুড্ডু। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। পরে রামুয়ার সঙ্গে বচসার জেরে এলাকা ছাড়া হয়।

রামুয়া খুনের পর ফের এলাকায় ঢোকে গুড্ডু। মঙ্গলবার রাতে শিবপুর পি এম এলাকায় একটি জলসায় গিয়েছিল গুড্ডু। সেখানে তমন্না ও পোলার্ডের সঙ্গে বচসা বাধে গুড্ডুর। বার বার এলাকা দখলের হুমকি দেয় সে। এরপর অত্যধিক নেশা করে গুড্ড্। ভোর রাতে বাড়ি ফেরার পথে নেশার ঘোরে রাস্তার উপর ভ্যানেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। সেই সুযোগেই গুড্ডুকে খুন করে তমন্না ও পোলার্ড। ঘুমন্ত অবস্থায় গুড্ডুর গলার নলি কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা।

বুধবার সকালে হাওড়ার মল্লিকফটক এলাকার এক যুবককে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। জিটি রোড সংলগ্ন একটি বন্ধ দোকানের বাইরে  ট্রলি ভ্যানে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। প্রথমে ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম গুড্ডু মানোয়ার। গত রবিবার খুন হওয়া একসময় হাওড়ার ত্রাস নামে পরিচিত রামুয়ার সঙ্গী বলে পরিচিত ছিল সে।