চন্দ্রযান ২ পাঠিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পথে ইসরো, জেনে নিন খুঁটিনাটি


২০০৮ সালে ভারত প্রথমবার চন্দ্রযান মহাকাশে পাঠিয়েছিল। সেটা দেখা সারা বিশ্ব বাহবা জানিয়েছিল। ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের আমলে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১৩০০ কেজির কিছু বেশি ওজনের চন্দ্রযানটি তৈরি করে পাঠাতে খরচ পড়েছিল ৩৮৬ কোটি টাকা। পৃথিবীতে চতুর্থ দেশ হিসাবে চন্দ্রযান পাঠিয়ে রেকর্ড গড়ে ভারত। ২ বছর মহাকাশে থাকার কথা থাকলেও নয় মাস পরে চন্দ্রযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও ইসরোর এই সাফল্যকে সারা বিশ্ব কুর্ণিশ করেছিল। এবার সেই সাফল্যকেই পাথেয় করে দ্বিতীয় অভিযানে নামতে চলেছে ইসরো।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রথম চন্দ্রযানের পর দ্বিতীয় অভিযান চন্দ্রযান ২-ও মহাকাশযানটি একেবারে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। যেটিতে একসঙ্গে অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার রয়েছে।

চন্দ্রের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে চন্দ্রযান ২ থেকে ইসরোয় সঙ্কেত পৌঁছবে। সেইসময় রোভারটি অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তারপরে ধীরে ধীরে ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে।

সময় নিয়ে চাঁদে নামার পরে ছয় চাকার রোভারটি কাজ শুরু করবে। সেমি-অটোনমাস অবস্থায় চন্দ্রযানটি চাঁদের মাটিতে প্রদক্ষিণ করবে। চাঁদের মাটির তথ্য পর্যালোচনার জন্য ছবি পাঠানো হবে।

চন্দ্রযানটির ওজন ৩৯২০ কেজি। চাঁদের আবহাওয়া, খনিজ, চন্দ্রপৃষ্ঠের নানা ছবি ও তথ্য ইত্যাদি এটি ইসরোকে পাঠাতে থাকবে বলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে।

ইসরো জানিয়েছে, এই অভিযানের জন্য মোট খরচ পড়বে ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা উৎক্ষেপণের খরচ ও বাকী ৬০০ কোটি টাকা কৃত্রিম উপগ্রহের। এবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই অভিযান করবে ইসরো।