সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে


আপত্তি টিকল না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দিনেশ মাহেশ্বরী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হলেন। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আজ এই দু'জনের পদোন্নতিতে সিলমোহর বসালেন। এবং এ দিন তার বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিল সরকার। এই দু'জনের পদোন্নতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কৈলাস গম্ভীর। বক্তব্য ছিল, ৩২ জন বিচারপতিকে টপকে ওই দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা 'ঐতিহাসিক ভুল'।

প্রাক্তন বিচারপতি গম্ভীরের আপত্তি টিকল না বটে। কিন্তু বিতর্কটা তাতে থামল না। বরং জোরদার হয়ে উঠল বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খোলায়। বার কাউন্সিল জানিয়েছে তারা, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সঙ্গেও দেখা করবে। এক প্রেস বিবৃতিতে বার কাউন্সিল জানিয়েছে, কলেজিয়াম তার মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অনেক প্রবীণ বিচারপতি অপমানিত হবেন। তাঁদের মনোবলে আঘাত করবে এটি। বিভিন্ন আইনি সংগঠন তাই দেশ জুড়ে প্রতিবাদ চাইছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বার কাউন্সিল। এখানেই শেষ নয়। আপত্তি জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কৌশল কউলও। ইতিমধ্যেই তিনি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং শীর্ষ আদালতের কলেজিয়ামের বাকি সদস্যদের কাছে 'নোট' পাঠিয়েছেন 'সিনিয়রিটি'-র বিষয়টি উপেক্ষা করা নিয়ে।