প্রায় তিন কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশে জেল হেফাজত নজরুলের


ঢাকা: বাংলাদেশের দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্কভিটায় গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে টাকা পয়সা লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন নরুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম৷ ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সময়কালে দুধের কারখানায় লেনদেনে গরমিল দেখা যায়৷ এরপর থেকে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়৷ এই নজরদারি চলাকালীনই সন্দেহ হয় যে, তারা লেনদেন ঠিকমতো না করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন৷

এরপর নরুল ও নজরুলের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের দুগ্ধ বিপনন সংস্থাটি৷ এই কমিটিই প্রথম অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পায়৷ আসামিরা মোট মাসিক সেলস এবং ব্যাংক হিসাব অনুযায়ী ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে৷ এই ঘটনায় আবু ছায়েদকে মিল্কভিটা থেকে অপসারণ এবং অপর দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷

প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগের অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা আনোয়ারুল হাসান অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রূপনগর থানায় মামলা দায়ের করেন৷ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে মিল্কভিটার তরফে কোর্টে যাওয়ার পর আসামি নজরুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন পান৷ তবে নির্ধারিত সময় পরও তিনি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি৷ তবে মামলার অপর দুই আসামি নুরুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে এবং আবু ছায়েদ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন৷