চিতাবাঘ মেরে মাংস খেয়ে চামড়া বিক্রির ছক, গ্রেপ্তার ৫ পাচারকারী


জলপাইগুড়ি: চিতাবাঘ শিকার করে সেই মাংস খেল পাঁচ যুবক৷ পরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে চামড়া পাচারের চেষ্টা৷ ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স৷ জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি থেকে চিতাবাঘের চামড়া-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

দিনকয়েক ধরে উত্তরবঙ্গে বারবার শিরোনামে উঠে আসছে চিতাবাঘ৷ একের পর এক হামলার ঘটনায় তৈরি হয়েছে মানুষ এবং চিতাবাঘের দ্বৈরথ৷ এরই মাঝে আবার রয়েছে চোরাশিকারি এবং পাচারকারীদের বাড়বাড়ন্ত৷ জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি থেকে আবারও ৫ জন পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করল বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স৷ কিন্তু কীভাবে জালে ধরা পড়ল ওই পাঁচজন? টাস্ক ফোর্সের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেন, ''দিনকয়েক আগে আলিপুরদুয়ারের চা-বাগান লাগোয়া এলাকা থেকে একটি চিতাবাঘ শিকার করে পাঁচ যুবক৷ চিতাবাঘটিকে কেটে মাংস রান্না করে তারা৷ সেই মাংস খাওয়াদাওয়াও করে৷ চিতাবাঘের চামড়া হলুদ এবং নুন মাখিয়ে রেখে দেয় ওই পাঁচ যুবক৷ প্রায় ১০ ফুট লম্বা ওই চামড়া বিক্রি করারও পরিকল্পনা করে পাঁচজন৷ চিতাবাঘের চামড়ার ক্রেতা খোঁজার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপও তৈরি করে তারা৷ ওই গ্রুপেই ক্রেতা সেজে ঢুকে পড়েন রেঞ্জ অফিসার৷ চিতাবাঘের চামড়ার ১২ লক্ষ টাকা দাম ওঠে৷ বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ওদলাবাড়িতে জড়ো হয় পাঁচজন৷ বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন৷ চামড়া বিক্রির ছক কষে ওই পাঁচ যুবককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১০ ফুট লম্বা হলুদ-নুন মাখানো চিতাবাঘের চামড়াটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷

বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা জানান, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম রঞ্জিত মাহাতো৷ সে লাটাগুড়ির বাসিন্দা৷ পাচারকারী হিসাবে কুখ্যাত ছিল রঞ্জিত৷ দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ চলছিল৷ বাকি চার যুবকের সঙ্গে রঞ্জিতের কীভাবে যোগাযোগ হল, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা৷