‌‌২৯ বছর পরও বহু পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সংহতি স্টেশন


মছলন্দপুর: বহু আন্দোলনের পর স্টেশন তৈরি হলেও আজও রেলের অনেক পরিষেবা থেকেই বঞ্চিত শিয়ালদা–বনগাঁ রেল শাখার সংহতি স্টেশনের যাত্রীরা। তাই নিজেদের দাবিমতো প্রয়োজনীয় কিছু রেল পরিষেবা আদায় করে নিতে নতুন করে আন্দোলন সংগঠিত করছেন এলাকার রেলযাত্রীরা। মানুষকে সচেতন করতে স্টেশন চত্বরে মাইক লাগিয়ে বক্তব্য পেশের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করছে। পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে রেল দপ্তরে।

এই রেল শাখার হাবড়া থেকে মছলন্দপুরের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এলাকায় সড়ক পরিষেবা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই এলাকার মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন ও অবরোধ কর্মসূচি নেন। সাধারণ মানুষের সেই সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ নতুন একটি স্টেশন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী ১৯৯০ সালে হাবড়া এবং মছলন্দপুর স্টেশনের মাঝে এই সংহতি স্টেশন তৈরি হয়। স্টেশন তৈরির পর ২৯ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত রেলের অনেক পরিষেবা থেকেই বঞ্চিত এই স্টেশন। এখনও কম্পিউটারাইজড না হওয়ায় এই স্টেশন থেকে পুরনো আমলের পিচবোর্ডের টিকিট বিক্রি হয়। তাও সব স্টেশনের পাওয়া যায় না। মান্থলি বা রিটার্ন টিকিটও মেলে না। ফলে দূরের রেলপথে অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীকে মাঝপথে নেমে আবার টিকিট কেটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হয়। সব ট্রেন না দঁাড়ানোয় সমস্যায় পড়েন এই স্টেশনের যাত্রীরা।

বর্তমানে যাত্রীদের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে সকালে শিয়ালদা–বনগঁা লোকাল এবং বনগঁা–বারাসত লোকাল ট্রেনটি যেন এই স্টেশনে দঁাড় করানো হয়। এই স্টেশনের মহিলা শৌচালয়টি বেহাল হয়ে পড়ায় তা ব্যবহারের উপযুক্ত নেই। প্ল্যাটফর্মের অনেক জায়গা ভেঙে গিয়ে অসমান হয়ে পড়ায় বাচ্চা এবং প্রবীণ মানুষকে ট্রেনে ওঠানামা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যাত্রীশেডের অবস্থাও খুব খারাপ। ফলে এগুলি সংস্কারেরও দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।