হাসপাতালে ‘বদল’ সদ্যোজাত, কাঠগড়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল


শিশুবদলের অভিযোগে আবারও শিরোনামে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রসূতির পরিজনদের অভিযোগ, জন্মের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় পুত্রসন্তান হয়েছে, পুত্রসন্তান দেখানোও হয়। কিন্তু পরে মায়ের কাছে দেওয়া হয় কন্যাসন্তান৷ প্রসূতির পরিবারের তরফে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল (এমএসভিপি)-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার পূর্বস্থলীর মেড়তলার বিশ্বজিৎ সূত্রধর তাঁর স্ত্রী ঝুম্পাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করান। ওইদিনই রাতে অস্ত্রোপচার হয়। সন্তানের জন্ম দেন ঝুম্পা। বিশ্বজিৎ বৃহস্পতিবার এমএসভিপি-র কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের পর নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের জানান পুত্রসন্তান হয়েছে। কিছু পরে ঝুম্পার মা নমিতা পালের কোলে পুত্রসন্তানও দিয়ে যান নার্সরা। আধঘণ্টা পরে ফের নার্সরা এসে ওই পুত্রসন্তানকে নিয়ে চলে যান। পরিবর্তে একটি কন্যাসন্তান নমিতাদেবীর কোলে দিয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, নার্সরা শিশুবদল করে দিয়েছেন। পুত্রসন্তান হলেও জোর করে তাঁদের কন্যাসন্তান দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে কন্যাসন্তান দিতে চাইছে। বুধবার বিষয়টি মৌখিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান বিশ্বজিৎবাবুরা। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ না করায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর মা না দেখেই পুত্রসন্তান হয়েছে জানিয়ে দেওয়াতেই এমন বিপত্তি। ঝুম্পাদেবীর কন্যাসন্তানই হয়েছে বলে দাবি তাদের। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বা এমএসভিপি উৎপল দাঁ জানান, পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা ভুল করে অন্যের পুত্রসন্তানকে দেখিয়ে ফেলেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও শিশুবদলের ঘটনা ঘিরে তুলকালাম ঘটেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেবার একজনের সন্তান অন্যজনকে দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকদিনের টানাপোড়েনের পর সেই সমস্যার সুরাহা হয়েছিল। আবারও সদ্যোজাত বদলের ঘটনায় হাসপাতালের দিকেই উঠেছে অভিযোগের আঙুল৷