পাক মদতে ভারতে হামলার চেষ্টা করবে তালিবান, হুঁশিয়ারি মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের

পাক জঙ্গিরা ভারতে হামলা চালিয়ে যাবে, উদ্বেগ প্রকাশ আমেরিকার।

২০১৯ সালে আরও সক্রিয় হবে তালিবানরা। পাকিস্তানের মদতে ভারতে হামলার ছক কষবে। এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ড্যান কোটস। পাকিস্তান যেভাবে তালিবান-সহ অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে, তাতে আমেরিকার বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে বলেও মনে করেন কোটস।

২০১৯ সালে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ এবং উদ্বেগের বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে জানাতে মার্কিন সেনেটের সিলেক্ট কমিটিকে লিখিত আকারে নিজেদের মতামত দেন শীর্ষ গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন ডিরেক্টর অব ইন্টেলিজেন্স ড্যান কোটস। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর জিনা হসপেল, এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে, ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর রবার্ট অ্যাশলের মতো শীর্ষ পদাধিকারীরা। এঁদের মধ্যে জিনা হসপেল আবার কয়েক দিন আগেই ভারত ঘুরে গিয়েছেন।

লিখিত ওই বিবৃতিতে কোটসপাকিস্তানকে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ''পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি এই স্বর্গরাজ্যের সুবিধা নিয়ে ভারত ও আফগানিস্তানে জঙ্গি হানার পরিকল্পনা করবে।'' তার জেরে আমেরিকা যে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের মোকাবিলায় কাজ করছে, সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে।

ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। ভারত তো বটেই আমেরিকাও বহুবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বহুবার পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও পাকিস্তান যে সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করেনি, কার্যত ফের সেকথাই তুলে ধরলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান।

কোটস বলেছেন, ''দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে তালিবান জঙ্গি দমনে আমেরিকা কাজ করে আসছে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টায় সাহায্য না করে উল্টে জঙ্গিদেরই মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান।'' তাতে যে শুধু ওয়াশিংটনের জঙ্গি দমন প্রচেষ্টায় ধাক্কা খাবে তাই নয়, পাকিস্তান নিজেদের জন্যও বিপদ ডেকে আনবে।

কোটসের আশঙ্কা, আমেরিকা সক্রিয় থাকলেও ২০১৯ সালে তালিবানদের সক্রিয়তা আরও বাড়বে। কারণ এ বছরের মে মাস নাগাদ ভারতের সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই দু'টিই দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বড় ঘটনা। ফলে এই সময় তালিবানরাও নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে এবং জঙ্গি হানা চালাতে সক্রিয় হবে, মত কোটসের।