২২ বস্তা কচ্ছপ ধরল সিআইডি


দুর্গাপুর: দুর্গাপুর স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে ২২ বস্তা কচ্ছপ উদ্ধার করল সিআইডি। দুর্গাপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে  ডাউন দুন এক্সপ্রেস ঢোকার পর একটি কামরা থেকে ২২ বস্তা কচ্ছপ আটক করেন সিআইডি–র আধিকারিকরা। আগেও দুন এক্সপ্রেস থেকে কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এরকম বিপুল সংখ্যক বস্তাবন্দি কচ্ছপ কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বস্তাবন্দি কচ্ছপগুলি দুর্গাপুর কোকওভেন থানায় রাখার পর বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আগেই  রেলগাড়ির কামরায় কচ্ছপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো তারা দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য দুর্গাপুর স্টেশনে ওত পেতে ছিল। উদ্ধারের পর কামরা থেকে ৪ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতরা হল রাজকুমার, লক্ষ্মণকুমার, সুশীলকুমার ও রাজুকুমার। সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এত বিপুল পরিমাণ বস্তাবন্দি কচ্ছপ উদ্ধারে পুলিশ আর বন দপ্তরের কর্তারা চিন্তায় পড়েছেন। কচ্ছপ পাচারের সঙ্গে কোনও চক্র অথবা রেলের কোনও কর্মী জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৬৮৯টি কচ্ছপ বিরল প্রজাতির।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চারজন পাচারকারি ব্যান্ডেলের কোনও ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বেনারস থেকে এই কচ্ছপ নিয়ে আসছিল। বনকর্মীদের মতে, এগুলো সফট শেল প্রজাতির কচ্ছপ। এদের প্রজনন ক্ষমতা বেশি। পুলিশ ধৃতদের জেরা করছে। কোথা থেকে এই কচ্ছপ আনা হয়েছিল, জানার চেষ্টা চলছে। বন বিভাগের আধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, '‌দুর্গাপুর ডিভিশনের  ডব্লিউপিসিবি আর সিআইডি মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে ২২ বস্তা বাজেয়াপ্ত করেছে। তাতে ৬৭৯টি নরম শেল কচ্ছপ ছিল। রেল পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ, কিছু সংখ্যক অসাধু কচ্ছপ ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও মামলার পর কিছু অজানা কারণে ফের ছাড়াও পেয়ে গেছে। হুগলি জেলার বেশ কিছু বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা কচ্ছপ কেটে মাংস বিক্রি করছে। শুধুমাত্র বেশি টাকার লোভে বিক্রি করে চলেছে কচ্ছপগুলি। অন্যদিকে, এই বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য, কচ্ছপ ধরা বা মারা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।