এবার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যও আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হচ্ছে!


নাগরিকের সব রকম পরিচয়পত্রের সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছে আধার। এবার জুড়ছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গেও। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হতে চলেছে। রবিবার পাঞ্জাবে জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ জানিয়েছেন, এনিয়ে আলাদা আইন আনতে চায় কেন্দ্র। বিলের খসড়া তৈরি, সংসদে তা পাশের অপেক্ষা। সেই পর্ব মিটিয়ে দ্রুতই এই দুটি পরিচয়পত্র জুড়তে চলেছে।

এর আগে একাধিক পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে জটিলতা কম হয়নি। সরকারি বা বেসরকারি সুযোগসুবিধা পেতে আধার বাধ্যতামূলক কি না, তা নিয়ে নিষ্পত্তির রাস্তা পৌঁছেছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আধার সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও করেছিলেন কেউ কেউ। ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হবে না বলে কেন্দ্র নিশ্চিত করার পরও আশঙ্কা কমেনি। কেন্দ্রের তরফে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কোনওকিছুতেই আধার বাধ্যতামূলক হতে পারে না।

এসবের পরও কী কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে আধার সংযুক্তির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের? উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের ব্যাখ্যা, 'ধরুন, কোনও মদ্যপ দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাল এবং তারপর ঘটনাস্থল ছেড়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে গা ঢাকা দিল। সেখান থেকে আলাদা পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করল। সেক্ষেত্রে অপরাধী সকলের নাগালের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু আধার সংযুক্তির ফলে এই কারচুপি করার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। ভুয়ো নাম, পরিচয় দিয়ে নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গেলে বায়োমেট্রিকের তথ্য মিলবে না। ফলে ধরা পড়ে যাবে অপরাধী।' এক্ষেত্রে আধার সংযুক্তিকরণকে অনেকেই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন। ভুয়ো নথি তৈরি রোধ করার পাশাপাশি কোনও গাড়ি কতবার, কীভাবে রাস্তায় নিয়ম ভাঙল, তাও রেকর্ড হয়ে থাকবে। যদিও একাজ খুব সহজ নয় বলেও মানছে কেন্দ্র। রবিশংকর প্রসাদের মতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি বহু বছর ধরেই কিছুটা এলোমেলো। তাকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে তারপর কাজে হাত লাগাতে হবে।