আগামী দু’টি অর্থবর্ষেও ভারতের জিডিপির হার বাড়বে, পিছিয়ে পড়বে চিন: বিশ্বব্যাঙ্ক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতকে সুখবর দিল বিশ্বব্যাঙ্ক। আর প্রতিবেশী চিনকে শোনাল দুঃসংবাদ। জানাল, ভারতের অর্থনীতির স্বাস্থ্য বেশ ভাল হবে চলতি অর্থবর্ষের শেষে। আর তা আরও ভাল হয়ে উঠবে পরের দু'-দু'টি অর্থবর্ষে। অন্য দিকে, উত্তরোত্তর পিছিয়ে পড়বে চিনের অর্থনীতি।

বিশ্বব্যাঙ্কের হালের রিপোর্ট জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০১৮-'১৯) ভারতের জিডিপির হার বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ। আর তা পরের দু'টি অর্থবর্ষে (২০১৯-'২০ এবং ২০২০-'২১) বাড়বে ৭.৫ শতাংশ হারে। শুধু জিডিপির হার-বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েই থেমে থাকেনি বিশ্বব্যাঙ্ক, এও জানিয়েছে, আগামী দু'টি অর্থবর্ষে ভারতের ক্রেতাবাজার বাড়বে উল্লেখজনক ভাবে। বাড়বে পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণও।

বিশ্বব্যাঙ্কের আরও পূর্বাভাস, চলতি ও আগামী অর্থবর্ষে চিনের জিডিপির হার কমে গিয়ে ৬.২ শতাংশ করে থাকবে আগামী দু'বছরে। আর তা ২০২০-'২১ অর্থবর্ষে আরও নেমে গিয়ে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে।

বিশ্বে এই মুহূর্তে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, আগামী দু'টি অর্থবর্ষেও সেই গতি অব্যাহত থাকবে।

'গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্ট রিপোর্ট (জানুয়ারি, ২০১৯) নামে বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।

জিডিপি-বৃদ্ধির হারে ২০১৮-'১৯ অর্থবর্ষেই চিনকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস বলছে, এ দেশে জিডিপির হার বেড়ে ৭.৩ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই। আর চিনের ক্ষেত্রে তা হবে ৬.৫ শতাংশ। তার আগের অর্থবর্ষে (২০১৭-'১৮) অবশ্য জিডিপি বৃদ্ধির হারে ভারতের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিল চিন। ভারতের জিডিপির হার যেখানে ছিল ৬.৭ শতাংশ, সেখানে তা চিনে ছিল ৬.৯ শতাংশ।

বিশ্বব্যাঙ্কের প্রসপেক্টস গ্রুপের অধিকর্তা আইহান কোসে বলেছেন, ''ভারতের অর্থনীতির এগিয়ে চলা, বাড়-বৃদ্ধির সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো। ভারতে শিল্প, ব্যবসা করার সুযোগসুবিধা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। তার ফলেই তেজি হয়ে উঠছে ভারতের অর্থনীতি। যা আরও তেজি হয়ে উঠবে আগামী দু'টি অর্থবর্ষে।''