যৌন লালসার বেনজির ‘রীতি’ সম্ভ্রান্ত পরিবারে! পাল্টা বধূর পরপুরুষে আসক্তির তত্ত্ব


খাস কলকাতার বুকে অভিজাত পরিবারের বেনজির রীতি এখন জোর চর্চা শোনা যাচ্ছে কান পাতলেই। বালিগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেন পরিবারে নাকি স্ত্রী অদল-বদলের রীতি মেনে চলা হয়। গৃহবধূর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, তাঁকে ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাপ সৃষ্টি করা হত। স্বামীই তাঁকে বাধ্য করেছেন ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে।

অভিযোগ, একইভাবে অন্য পুরুষ বা মহিলারাও অন্যের স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত। কড়েয়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেন পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানানো হয়, বউমা পরকীয়া করে পরপুরুষের সঙ্গে থাকত। রাত কাটাত। তাই তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়।

বাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে কথাবার্তাও বন্ধ করেছিল। কিছুদিন পর সে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। সাতমাস যাবৎ বউমা এই বাড়িতে আসেনি, বাপের বাড়িতে থাকত। ওই বধূর শ্বশুরমশাই আরও বলেন, এইভাবে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটাবে বাড়ির বউ, তা তো আমরা মেরে নিতে পারি না, তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার কথা চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল।

সেন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর প্রতিশোধস্পৃহায় সে এখন মিথ্যা অভিযোগ আনছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমাদের পরিবারের বদনাম করার চেষ্টা করছে। তা না হলে বিয়ের ১৪ বছর পর কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠবে। তারপর সাতমাস বউমা এ বাড়িতে নেই। তাহলে তাঁকে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কী করে।

শ্বশুরবাড়ির পাল্টা অভিযোগ, বউমার অনেক পুরুষবন্ধু ছিল। তাঁদের সঙ্গেই দিন কাটাত। রাতেও ফিরত না বাড়ি। একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলাম আমরা, তাতেই এইসব অভিযোগ করছে। এই ঘটনায় কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। কড়েয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে। গৃহবধূর বয়ানও রেকর্ড করানো হয়েছে।