নিজের মেয়ে সহ দুই নাবালিকাকে পাচার করতে গিয়ে ধৃত ব্যক্তি


কলকাতা : গুজরাত থেকে নিজের মেয়েকে কলকাতায় এনেছিলেন বাবা। সঙ্গে আরও দুই নাবালিকাকে এনেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল তাদের অ্যামেরিকায় পাচার করা। সে দেশে নাকি তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য অপেক্ষা করছে ভবেশ নামে কোনও এক ব্যক্তি। নাবালিকা পাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা কলকাতার নাসিরের হাতে মেয়েদের তুলে দিতে চেয়েছিল মুকেশ ভাই দর্জি নামে ওই ব্যক্তি। কিন্তু তার সেই চেষ্টা সফল হল না। কলকাতা পুলিশ মুকেশকে গ্রেপ্তার করেছে। তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গুজরাত থেকে অ্যামেরিকায় নাবালিকা পাচার চক্রের ট্রানজিট পয়েন্ট হল কলকাতা। চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছিল আগেই। গত দু'বছর ধরে ১৩ জন নাবালিকাকে এভাবে পাঠানো হয়েছে অ্যামেরিকায়। পাচার চক্রের পান্ডারা ছড়িয়েছিল কলকাতা এবং গুজরাতের আমেদাবাদে। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নামে। জানা যায় চক্রের জাল বহুদূর পর্যন্ত ছড়ানো। চক্রের অন্যতম পান্ডা কলকাতাবাসী নাসির। এছাড়া জড়িত আরও পাঁচ জন। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে গুজরাত থেকে চক্রের আর এক পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম ময়ূর ব্যাস। চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

চক্রের কার্যপদ্ধতি চমকে দিয়েছে গোয়েন্দাদের। নাবালিকাদের কলকাতায় এনে প্রথমে গোপন ডেরায় রাখা হত। হাওড়ায় ১৫ বছরের কম বয়সী এই নাবালিকাদের পাসপোর্ট তৈরি হত। এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত নাসির। পুলিশ জানতে পেরেছে, নাসিরের স্ত্রী মার্কিন কনসুলেটের ভিসা বিভাগে চাকরি করত। এই চক্রে তার ভূমিকা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।