কন্যাশ্রীর জন্য বেড়েছে ছাত্রীসংখ্যা, নবান্ন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী


শিক্ষার ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। নবান্নে সোমবার এই বৈঠক চলে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, '‌কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখে গিয়ে পৌঁছেছে। যা আমাদের গর্বের বিষয়। এছাড়াও স্কুলে বাড়ছে ছাত্রীর সংখ্যা। আগে ছিল পাঁচ লক্ষের কিছু বেশি, এখন সেটা ৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে। উচ্চশিক্ষায় মেয়েরা যাতে আরও এগিয়ে আসতে পারে তার ভাবনাচিন্তাও করা হচ্ছে।'‌

এদিন বৈঠকে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, উপাচার্য সহ–আরও দু'‌জন থাকবেন। শিক্ষা বিষয়ক নানা বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। শিক্ষক–শিক্ষিকা যেখানে বেশি আর যেখানে কম তার মধ্যে সমন্বয়সাধন করবে এই কমিটি। রাজবংশী, অলচিকি ভাষা উচ্চশিক্ষায় আরও ভালভাবে যুক্ত করার কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। 
তিনি আরও একটি পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে জানান, '‌অনেক সময়েই দেখা যায়, দূরের স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা তেমন বেশি না। তাই এবার থেকে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে কেউ যদি শিক্ষকতা করতে চান, তাহলে নতুন সুযোগ হিসাবে ইন্টার্ন হয়ে কাজ করতে পারবেন তাঁরা। এর ফলে তাঁদের অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হবে, সার্টিফিকেট পাবেন তাঁরা। পরবর্তীতে শিক্ষকতার পেশায় গেলে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।' মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নানা কারণে শিক্ষক নিয়োগ ও তাঁর সমবন্টনে অনেক সমস্যা দেখা যায়। রাজ্যের সর্বত্র যাতে সমভাবে শিক্ষকদের ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা দেখার কথাও বলেছেন তিনি। এছাড়াও, পঞ্চম শ্রেণিকে মাধ্যমিক বিভাগ থেকে সরিয়ে প্রাথমিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তা হলে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের উপর চাপ কিছুটা কমবে।