স্কুলে পড়ার সময়েই বিয়ে, পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ‘খুন’ গৃহবধূ


কান্দি: গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম। তড়িঘড়ি নাবালিকা মেয়ের বিয়েও দিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু পরিণতি হল মর্মান্তিক। পারিবারিক বিবাদে ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে বলে অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দির গোকর্ন এলাকায়। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।

মৃতার নাম পায়েল কোনাই, বয়স আঠেরো বছর। যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন পাশের গ্রামের যুবক তপন কোনাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় পায়েলের। বিষয়টি জানাজানি হতে সময় লাগেনি। তপনকে অপছন্দ ছিল না পায়েলের বাড়ির লোকেরও। বছর চারেক আগে স্কুলে পড়তে পড়তেই বিয়ে হয়ে যায় পায়েলের। কিন্তু, বিবাহিত জীবনে সুখী হননি তিনি। পায়েল কোনাইয়ের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর নিয়মিত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চলত। বিয়ের এক বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পায়েল। কিন্তু, সে আবার প্রতিবন্ধী। ফলে পারিবারিক বিবাদ চরমে পৌঁছায়, শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের মাত্রাও আরও বাড়ে।

পায়েল কোনাইয়ের বাপের লোকেদের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে খুন হন তিনি। ঘটনার পর স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পায়েলের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পান তাঁরা। মেয়েকে খুনের অভিযোগে জামাই তপন কোনাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে কান্দি থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।