বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামী, প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে খুন


কাটোয়া: আইনের চোখে পরকীয়া অপরাধ নয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক স্ত্রীর পক্ষে মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করেছে বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ি থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।

মৃতার নাম মমতা বিবি। বাপেরবাড়ি, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। এক বছর আগে কেতুগ্রামের সেলিম শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় মমতার। সেলিম পেশায় কসাই। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে বছর ঊনিশের ওই তরুণীর উপর অত্যাচার চালাত স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। পণের জন্য চাপও দেওয়া হত। শেষপর্যন্ত জানা যায়, নিজের বউদির সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক আছে সেলিমের। এমনকি, একদিন দু'জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেও ফেলেছিলেন মমতা। প্রতিবাদ করায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে মমতা বিবি-র ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। তাঁরাই মৃতদেহটি নামিয়ে উঠোনে শুইয়ে রাখে। এদিকে ততক্ষণে মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়েছেন মমতা বিবির বাপের বাড়ির লোকেরাও। তাঁদের দাবি, ফোন করে খবর দিয়েছিল মমতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শুক্রবার সকালে মমতা বিবির স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৯ জনের বিরুদ্ধে খুনের থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক।

এদিকে আবার শুক্রবারই পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের মামলায় স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল কাটোয়া মহকুমা আদালত। ২০১৩ সালে মালিকের সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল কাটোয়ার জয়ন্ত হাজরা। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর কাটা মুন্ডু মালিকের বাড়ির সামনে রেখে এসেছিল সে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।