জিও গিগাফাইবার বনাম বিএসএনএল বনাম এয়ারটেল ভি-ফাইবার: কী পার্থক্য?


ভারতে ব্রডব্যান্ডের জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ বছর ২০১৯। এই বছরেই বাজারে আসছে জিওর ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জিও গিগা ফাইবার। ইতিমধ্যেই কয়েকটি শহরে হিগাফাইবার পরিষেবা শুরু হলেও ২০১৯ সালেই ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে এই পরিষেবা শুরু করবে জিও। ইতিমধ্যেই ভারতের ব্রডব্যান্ড সার্ভিসে আধিপত্য ধরে রেখেছে এয়ারটেল আর বিএসএনএল। তবে গিগা ফাইবার লঞ্চের পরে বেশ চাপে পড়বে এই দুই কোম্পানি। জিও গিগাফাইবার, বিএসএনএল আর এয়ারটেল ভি-ফাইবারের পার্থক্য কী? দেখে নিন।

বিএসএনএল ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড
ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বিএসএনএল। নতুন ব্রডব্যান্ড কানেকশানের সময় কোন ইন্সটলেশান চার্জ নেয় না রাষ্ট্রায়াত্ব কোম্পানিটি। তবে কানেকশান নেওয়ার সময় একটি ADSL মোডেম কিনতে হয় গ্রাহককে। অনেক জায়গাতেই ল্যান্ডলাইন কানেকশানের সাথেই ব্রডব্যান্ড কানেকশান দেওয় বিএসএনএল। জিও গিগাফাইবার লঞ্চের ঠিক আগে কোম্পানির ব্রডব্যান্ড প্ল্যান ঢেলে সাজিয়েছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। মাসে মাত্র ২৯৯ টাকা থেকে বিএসএনএল ব্রডব্যান্ড প্ল্যান শুরু হচ্ছে। সর্বোচ্চ দিনে 35GB পররযন্ত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।

এয়ারটেল ভি-ফাইবার
এখন নির্বাচিত এলাকায় এয়ারটেল ভি-ফাইবার কানেকশান দেয় এয়ারটেল। মাসে ৪৯৯ টাকা থেকে ১৯৯৯ টাকায় দিল্লিতে ফাইবার ব্রডব্যান্ড কানেকোশান দেয় গুরুগ্রামের কোম্পানিটি। ব্রডব্যান্ডে এক সাথে ৬ মাস রিচার্জে ১৫ শতাংশ আর ১২ মাস রিচার্জে ২০ শতাংশ ডিস্কুয়ান্ট দিচ্ছে এয়ারটেল। এয়ারটেল ভি-ফাইবার রেজিস্ট্রেশানের জন্য খরচ হবে ১,০০০ টাকা। সাথে ১,০০০ টাকা দিয়ে একটি মোডেম কিনতে হবে গ্রাহককে। এই কানেকশানে 8Mbps থেকে 100Mbps পর্যন্ত স্পিড পাওয়া যায়।

জিও গিগাফাইবার
জিও গিগাফাইবার কানেকশান নেওয়ার সময় খরচ হবে ৪,৫০০ টাকা। সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে এই টাকা জমা নেবে জিও। কানেকশান ছেড়ে দিলে এই টাকা গ্রাহক ফেরত পাবেন। ৫০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্যে প্ল্যান নিয়ে আসবে জিও। প্রথম তিন মাস বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে এই কানেকশান।