‘আপনার মেয়েকে অপহরণ করব, বাঁচাতে যা পারেন করুন’! হুমকি মেল পেলেন কেজরীওয়াল

মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ই-মেল।

মাস তিনেক আগেই সচিবালয়ে ঢুকে উপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উপর লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে আক্রমণ করেছিল এক ব্যক্তি। এ বার সেই অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বছর তেইশের মেয়ে হর্ষিতাকে অপহরণের হুমকি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল ই-মেলে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি মেল পাওয়ার পরই হর্ষিতার নিরাপত্তায় এক জন বিশেষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার নিযুক্ত করেছে পুলিশ। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই হর্ষিতার সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকছেন ওই অফিসার। বাড়িতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য মোতায়েন হয়েছে কড়া পুলিশি প্রহরা। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল।
''আপনার মেয়েকে অপহরণ করব। তাঁকে বাঁচাতে আপনি যা পারেন করুন!'' গত ৯ জানুয়ারি বুধবার কেজরীওয়ালের সরকারি ই-মেল অ্যাকাউন্টে এ রকমই দু'টি হুমকি ই-মেল আসে। কিন্তু তাতে প্রেরকের নাম নেই। যে আইডি থেকে পাঠানো হয়েছিল তার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানার চেষ্টা চলছে যে কম্পিউটার থেকে মেল পাঠানো হয়েছে, তার আইপি অ্যাড্রেস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মামলায় তেমন কোনও অগ্রগতি নেই বলেই দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রে খবর।

আপ সুপ্রিমো কেজরীওয়ালের মিডিয়া উপদেষ্টা নাগেন্দ্র শর্মা শনিবার জানান, হুমকি ই-মেল পাওয়ার পরই সেগুলি দিল্লির পুলিশ কমিশনার অনূল্য পট্টনায়েককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ''দিল্লি সরকারকে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও ওই ই-মেলের তদন্তের বিষয়ে কোনও অগ্রগতির খবর দেওযা হয়নি।''

২০১৪ সালে আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন হর্ষিতা। দিল্লি আইআইটি থেকে পাশ করার পর বর্তমানে গুরুগ্রামের একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনিতা, মেয়ে হর্ষিতা বা ছেলে পুলকিত এর আগে কখনও নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আর্জি জানাননি। তাঁরা বরং আমজনতার মতো সাদামাটা জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। এই ই-মেলের পর তাঁদের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

কিন্তু কে বা কারা ওই ই-মেল পাঠাল, সে সম্পর্কে এখনও তেমন কোনও সূত্র পায়নি দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। তদন্তের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদস্থ কর্তা বলেন, ''মেল পাওয়ার পরই পদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন কমিশনার।'' পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।

গত ২০ নভেম্বর সচিবালয়ে ঢুকে এক ব্যক্তি কেজরীওয়ালের উপর লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বাইরে এই রকম আক্রমণের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে সেই সময়ও প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ।