১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডকে সফল করতে নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন নেতারা


কলকাতা: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন৷ সেই কথা মাথায় রেখেই, ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই ব্রিগেডে সমাবেশে দেশের অ-বিজেপি দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের আমন্ত্রণ জানানো কথা বলা হয়েছে৷ লক্ষ্য একটাই, একজোট হয়ে স্বমূলে উপড়ে ফেলতে হবে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে৷ আর সেজন্য মোদী বিরোধী বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি বাংলায় ৪২ টির মধ্য ৪২টি আসন নিজেদের দখলে রাখার জন্য দলের নেতা-নেত্রীদের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তৃণমূল নেত্রী৷ আর তাই লোকসভাকে মনে রেখে তৃণমূলের 'বড় উৎসব' ব্রিগেডকে সফল করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা৷

ময়দানের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে চলছে জোর প্রস্তুতি৷ দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে কাজে লেগে পড়েছেন নেতারা৷ কাজের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেই ছাত্রদেরও৷ মোট কথা নিরাপত্তায় খামতি রাখতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ আর সেই কারণেই পালা করে চলছে তদারকির কাজ৷ ব্রিগেড ময়দানে গেলেই চোখে পড়বে বিভিন্ন সময়ে দলের বিভিন্ন নেতারা প্রস্তুতির তদারকিতে ব্যস্ত৷ কাজের ফাঁকে পাঁকে ঘুরে দেখে যাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরাও৷ রয়েছে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও৷ মঞ্চ প্রস্তুতির জন্য যারা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাদের জন্য যেমন ব্যবস্থা একই ব্যবস্থা নেতা-নেত্রীদের জন্যও৷
 
শক্ত-পোক্ত মঞ্চ তৈরিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যেভাবে মঞ্চ ভেঙে বিজেপির মুখ পুড়েছে তার থেকে শিক্ষা নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেই মনে করা হচ্ছে৷ মোটা লোহার বিম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মূল মঞ্চ৷ মোট তিনটি স্তরে মঞ্চ তৈরি করা হবে শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে৷ মূল মঞ্চে থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার সঙ্গে ওইদিন মূল মঞ্চ আলো করবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা৷ ব্রিগেডের মঞ্চেই বিজেপিকে মাস্টারস্টোক দেবেন মমতা বলেই জানা গিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে৷ দ্বিতীয় মঞ্চে থাকবে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বরা৷ আর তৃতীয়টিতে শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে৷

পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদাড় করা হয়েছে ব্রিগেডে৷ কলকাতা সহ রাজ্য পুলিশের বড় কর্তারা মাঠে নামবেন৷ মহানগর জুড়ে থাকবে আটোসাঁটো নিরাপত্তা৷ তৃণমূলের এই 'বড় উৎসব' ব্রিগেডে দুদিন আগে থেকেই লোকসমাগম হবে মহানগরে৷ ব্রিগেডে দলনেত্রীর বার্তা শুনতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করেছে দল৷ এবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম,ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, বিধাননগর মেলাগ্রাউন্ড ও বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন ধর্মশালায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ করা হবে ওইদিন বলেই জানা গিয়েছে৷ বেলা ১২টায় শুরু হবে ব্রিগেড মূল অনুষ্ঠান৷ সকাল নটার পর থেকেই হাজরা-পার্কস্ট্রিটের দিক থেকে ধর্মতলামুখী সব গাড়ি নিয়ন্ত্রয়ণ করা হবে।