লক্ষ্য ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন অবাধকরণ, ইন্টারনেট-বন্দি হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত বুথ


অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সুরক্ষায় বাড়তি নজরদারির জন্য এবার বুথে বুথে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। শুধুমাত্র পুলিশ, সিআরপিএফ মোতায়েন করে যে হিংসা দমিয়ে রাখা যাবে না, তা বুঝে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই ইন্টারনেট সংযোগে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বাংলায় অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইন্টাকনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সংস্থাগুলিকে জানানো হয় অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গর সমস্ত বুথে ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান সম্ভব। সম্ভব অবাধ নির্বাচন।


উত্তরবঙ্গের দুর্গম পাহাড়ি কিংবা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বুথে পৌঁছয়নি ইন্টারনেট পরিষেবা। শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য ওয়েব কাস্টিং এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু বুথে বুথে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায়, তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাছাড়া এসএমএস বেসড পোল মনিটরিং সিস্টেমের জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট পরিষেবা। তারপর এবার নির্বাচনে বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। তাই ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকলে, তা অ্যাকসেস করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, সিআরপিএফ ও পুলিশ ছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসিটিভি, ওয়েব কাস্টিং, মাইক্রো অবজার্ভার রয়েছে। এছাড়াও আরও আধুনিক হচ্ছে নির্বাচনী ব্যবস্থা। অ্যাপের মাধ্যমেও নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যেই সব বুথকে ইন্টারনেট পরিষেবার মধ্যে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।