দুর্নীতি দমনে চিনকেও টেক্কা দিয়েছে মোদীর জমানার ভারত, বলছে রিপোর্ট


মালিয়া-মোদী-চোকসি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ফেরার হলেও ভোটের মরসুমে মোদী সরকারের মুখে সামান্য হাসি আনতে পারল বিশ্ব দূর্নীতি সূচকের সম্প্রতি রিপোর্ট। দুর্নীতি দমনে কয়েক পয়েন্ট 'সাফাল্য' বাড়িয়ে চিনকেও হার মানাল ভারত। সম্প্রতি ট্রান্সপেরেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশ করেছে 'কর্পাশন পারসেপশনস ইন্ডেক্স ২০১৮'। ওই রিপোর্টে দুর্নীতি দমনে প্রথম স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। দ্বিতীয় স্থানে নিউ জিল্যান্ড এবং তৃতীয় স্থানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তভুর্ক্ত ফিনল্যান্ড। ভারত ওই তালিকায় ৭৮ নম্বর স্থানে রয়েছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ট্রান্সপেরেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচক নিরিখে দুর্নীতি দমনে ৩ পয়েন্ট বাড়াতে পেরেছে।

এই রিপোর্ট প্রকাশ আসতেই দুর্নীতি বিষয়ে চিনের অবস্থান যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কারণ, ২০১২ সালে শি চিনফিং ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি দূরীকরণে জোরদার প্রচার চালান। প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতি কমাতে নানা পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টকে। এর পরও ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, একে বারে ১০ ধাপ নীচে নেমে ৮৭ নম্বর স্থানে চলে আসে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে জিনপিংয়ের দেশে।

অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নজিরবিহীনভাবে দুর্নীতি দমনে খারাপ ফল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার দুর্নীতি দমনে প্রথম ২০ জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়।  ২২ নম্বর স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী, দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়ে আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার বেশ কিছু দেশ। ওই তালিকায় একেবারে নীচে রয়েছে ইয়েমেন (১৭৬), সিরিয়া (১৭৮), সোমালিয়া (১৮০)। কিম জং উনের দেশও (১৭৬) অত্যন্ত উদ্বেগের জায়গায় রয়েছে বলে জানাচ্ছে জার্মানির বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপেরেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট।